পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম আজ। গাউসুল আযম বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানি (র.)-এর ওফাত দিবস বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালিত হবে।
‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ এগারো। ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের এগারো-এর ফাতেহা শরিফকে বোঝায়। এই পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম শরিফ ইমামুল আউলিয়া পীরানে পীর গাউসুল আযম দস্তগীর হজরত মুহিউদ্দিন আবদুল কাদের জিলানি (র.)-এর স্মরণে পালিত হয়।
হজরত আবদুল কাদের জিলানি বড়পীরকে সব অলিদের সর্দার হিসেবে গণ্য করা হয়। ৫৬১ হিজরীর ১১ রবিউস সানী আধ্যাত্মিক জগতের এ মহান সাধক দুনিয়া থেকে পর্দা করেন। তিনি ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অধস্তন বংশধর। তিনি ৪৭০ হিজরি মোতাবেক ১০৭৭ খ্রিষ্টাব্দে পবিত্র ১লা রমজান সেহরির ওয়াক্তে ইরানের জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বিশিষ্ট বুজুর্গ সাইয়েদ আবু সালেহ জঙ্গি আর মাতা সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। বড়পীর তৎকালীন বাগদাদের শ্রেষ্ঠ বিদ্যপীঠ নিজামিয়া মাদরাসায় কুরআন, হাদীস, ফিকাহ, আকাইদ ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক পাণ্ডিত্য অর্জনপূর্বক সেখানে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন। তিনি অসাধারণ আধ্যাত্মিক সাধনা বলে মানুষের মাঝে চারিত্রিক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হবে।