রমজান মাসের শেষ শুক্রবার, জুমাতুল বিদা ছিল গতকাল। প্রতিটি মসজিদে উপচেপড়া ভিড় লক্ষণীয়। অনেক মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকে মসজিদের ছাদে, খোলা মাঠে, সড়কে জামাতে অংশ নেন। আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদসহ প্রায় মসজিদের সামনে দেখা গেছে, মুসল্লিদের সুবিধার্থে টুপি, তসবিহ, আতর, পাজামা, পাঞ্জাবির ভাসমান দোকান বসেছে।
এদিন, জুমার নামাজের আগে রমজানের তাৎপর্য ও জুমাতুল বিদার ফজিলত নিয়ে আলোচনা করা হয়। খুতবায় রমজানের শেষ দিনগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে সবাইকে বেশি বেশি করে ইবাদত–বন্দেগি করার আহ্বান জানানো হয়। জুমার নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া, ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়াও করা হয়।
রমজানের শেষ শুক্রবারকে ইসলামে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। এই দিনে নবী মুহাম্মদ (সা.) তার শেষ জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন, যা উম্মাহর জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত। রহমত, বরকত, মাফেরাত ও নাজাতের মাস রমজানের শেষ জুমা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একই সঙ্গে এ দিনকে আল কুদস দিবস হিসেবেও অভিহিত করা হয়।












