বান্ধবীর জন্মদিনে ‘ধূমপানের ভিডিও’ ভাইরাল হওয়ার পর পদ হারালেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের গাজীপুর মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতানা শোভা। গত রোববার বিকালে গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা সরকার আনুর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, শোভার মাদক সেবনের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার কারণে দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে তাকে গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এ বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে সদ্য পদ হারানো সুলতানা শোভা জানান, ষড়যন্ত্রকারীকে তিনি প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সুলতানা শোভা বলেন, মিডিয়ায় যে ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে তা এডিট করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাসসে কর্মরত। গত ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেতে একটি রেস্টুরেন্টে আমার বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে স্বামী–সন্তান ও স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে যোগ দেই। সেখানে নিছক মজা করে হুকার পাইপ ব্যবহার করে ধুমপান করি। তাতে কোনো মাদক ছিল না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার এক নিকটাত্মীয় সেই ছবি–ভিডিও ধারণ করেছেন। আমি ওই আত্মীয়ের কাছে ইট বিক্রির কয়েক লাখ টাকা পাই। ওই টাকা চাইলেও তা তিনি পরিশোধ করছেন না। এ নিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
সুলতানা শোভা আরও বলেন, আমাকে হেয় করতেই তিনি ওই ভিডিও ও ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছেন। আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এদিকে শোভার মাদক সেবনের বিষয়টি নিয়ে কোনো তদন্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা সরকার আনু বলেন, আমরাতো পুলিশ নই। মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার খবর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।












