চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, যে সকল দেশ জলবায়ু ও পরিবেশ দূষণের শিকার হয়েছে, তা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সবুজায়নের বিকল্প নেই। শুধু বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা সম্ভব নয়। আমরা নির্বিচারে পাহাড় কর্তন করছি, বৃক্ষ নিধন করছি, খাল, নদী ও জলাশয় ভরাট করছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে নগরীর টিআইসি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৃক্ষরোপণ অভিযান ও চারা বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই কথা বলেন। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দুর্বৃত্তরা প্রকৃতি পরিবেশকে নষ্ট এবং সামাজিক ও অর্থনীতির অমঙ্গলের জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। কারণ এরা জানে আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধারাবাহিক ক্ষমতায় থেকে জাতিকে যা দিয়েছে, তাতে সারা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়। আজ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। সারা জাতি আজ উৎসব মুখর। কিন্তু আমরা এও দেখছি যে, কোনো একটি মহল যারা বাংলাদেশ, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা চায় না, তারা পদ্মা সেতু হোক এটাও চায়নি। তাদেরকে রুখে দাঁড়ানো আজ সময়ের দাবি।
মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ইকবাল, নির্বাহী সদস্য এড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাশেম বাবুল, আতিকুর রহমান, ইফতেখার আলম জাহেদ। উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জোবাইরা নার্গিস খান, মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের প্রমুখ।
সভা শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ১৫টি থানা ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কদের হাতে ফলদ, ওষুধি ও বনজ বৃক্ষের চারা তুলে দেয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।