স্বপ্ন নয়, বাস্তব। এদেশের মানুষ শুধু আশাবাদীই নয়, সেই আশাবাদের সার্থক রূপায়ণেও সিদ্ধহস্ত তারা। যার নিপুণ উদাহরণ পদ্মা সেতু আজ বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আর আত্মমর্যাদার প্রতীক। আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত সেতুটি। ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলবে। তবে সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে নাশকতা বা ধ্বংসাত্মক কিছু ঘটিয়ে জণগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পারে বলে মনে করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এজন্য সারা দেশেই পুলিশ বিভাগকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) হায়দার আলী খান গণমাধ্যমকে বলেন, সেতুকে ঘিরে দেশের বাইরে থেকেও উসকানি দেওয়া হচ্ছে। দেশের ভেতরেও কেউ এ ধরনের কাজ করতে পারে। আমরা তাদের মনিটরিং করছি। সে অনুযায়ী ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সারা দেশেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব জায়গায় বড় পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হবে সেসব জায়গায় নজদারি বাড়ানো হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা অনুষ্ঠানস্থলে আসবেন তাদের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হায়দার আলী বলেন, কেউ নাশকতার পরিকল্পনা করে থাকলেও সেটা সফল হবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা ইতোমধ্যে নজরদারিতে এনেছি। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর সময় গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে, সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগবে। এমন গুজব উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে আবারও ছড়ানো হতে পারে। সেসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা সাইবার মনিটরিংয়ে জোর দিচ্ছি। দেশ বা দেশের বাইরে থেকে যেন কেউ কোনো ধরনের উস্কানি বা গুজব ছড়াতে না পারে সেদিকে আমরা নজর রাখছি।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতার ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পনার তথ্য এখনো মেলেনি উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তবু আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে চাই। এজন্য পুরো দেশের পুলিশ বাহিনীকে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।











