এখন বাড়ি আসার জন্য শুধুমাত্র সেতুটুকু পার হতে হবে। ওই পাড়ে শ্বশুরবাড়ি, ব্রিজ থেকে নেমেই বাবার বাড়ি। খুবই ভালো লাগছে। চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ নিয়ে এমনটাই বলছিলেন নদীর জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু দেখতে আসা সদ্য বিবাহিত সাথী মজুমদার।
প্রমত্তা পদ্মার ওপাড় শ্বশুরবাড়ি বিক্রমপুর থেকে ২০ দিন আগেই এসেছেন বাবার বাড়িতে। নদীর আরেক পাড়ে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজারে তার বাবার বাড়ি, সেতু থেকে যা একেবারেই কাছে। গতকাল পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচনের পর সাথী বিকালবেলা স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন সেতুর জাজিরাপ্রান্তে।
সেখানেই কথা হয় তার সঙ্গে। তবে সেতুর পাশে রাস্তা ধরে হাঁটতে পারলেও সেতুর উপর উঠতে পারছেন না বলে মনক্ষুণ্ন দেখা গেল তার স্বামী সাগর মজুমদারকে। তিনি বলেন, ভাবছিলাম ব্রিজের উপর একটু উঠে কয়েকটা ছবি তুলব। সেতু উন্মুক্ত করে দিলে তখন তো আর ব্রিজে দাঁড়ানো যাবে না। শ্বশুরবাড়ি আর নিজের বাড়ির মধ্যে এখন শুধু একটা সেতুর দূরত্ব।