সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ! যিনি পান তাঁর নিশ্চিত ভাবনাহীন জীবন চলা। তা আয়া হোক বা আমলা। নিরাপদ ছাদ যেন একটি সরকারি চাকরি। তবে বছরের পর বছর একই পদে থাকার আশায় কেউ চাকরিতে আসে না এতো মেধার যুদ্ধে জিতে। আসে অনেক স্বপ্ন সাধ, মেধার প্রখরতা দেখাতে। কিন্তু যুগযুগ ধরে একই জায়গায় অবস্থানে একঘেঁয়েমি আসে। কাজে মন বসে না, আগ্রহ জাগে না নতুন কিছু সৃষ্টিতে। যেই লাউ সেই কদু বলে ধরে নেন অনেকেই। তাই লোক দেখানো কিছু কাজ করেই সাড়া। মাস শেষেতো বেতন আসছেই। বাধ্য করলে আন্তরিক কাজ পাবেন না, জোরপূর্বক আদায় হয় কেবল। তাঁদের সংসার ঘর ঠিক মতো চলে না। অভাব অনটন লেগেই থাকে। কার ভালো লাগে তখন! আমরা শিক্ষকরা পড়েছি সেই যাঁতাকলে। এতো এসিআর, জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণী কাগজপত্র বছরে কয়েকবার চাওয়া, তাগাদা তারপর সব আলো শেষ। মনে হয় এখনই পদোন্নতি হবে! মন থেকে গ্লানির কুঁড়ো বহর কালো মেঘ সরে যাবে। ব্যাংকার বা আমলারা যদি দুইয়ের নামতা গুনতে পারেন পদোন্নতিতে তাহলে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা কী অপরাধ করেছেন? কীসে এতো বাধা তাঁদের উপরের স্তরে পৌঁছে দিতে? মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যতিরেকে সবাই উচ্চ শিক্ষিত। যোগ্যতার অভাব নেই বরং এখন বেশিই লক্ষ্যণীয়।এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এমন বিমাতাসুলভ আচরণ, অবহেলার পরিবেশ দেখলে শিক্ষকতা পেশায় অনাগ্রহ প্রকাশ করবে। অথচ যোগ্য অভিজ্ঞদের পদোন্নতি ত্বরান্বিত করলে এতে তো দেশেরই লাভ।