রাতে-দিনে সমানে দায়িত্ব পালন করতে হয়। অপরাধীর পেছনে ছোটা, মাদক কারবারীদের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা, কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তা রিপোর্ট করা আর এভাবেই কখন যে রাত পেরিয়ে ভোর হয় আবার দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায় তা টের পাওয়া কষ্টকর।
এভাবে বিশ্রামহীন অথবা আধা বিশ্রামের শরীরে মন মেজাজ সব সময় ঠিক রাখা সম্ভব হয় না বলে অনেক সময় অনেকে পুলিশকে বেরসিক বলে, অমানবিক বলে। কিন্তু দায়িত্ব পালনে পোষাকের মধ্যে ঢেকে থাকা শরীরের ভিতরেও যে মানবিকতা আছে, আছে মানুষের শান্তির জন্য বিনিদ্র রজনী পার করার মানসিকতা তা আগে বহুবার প্রমাণিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারো পুলিশের মানবিকতার অনন্য এক উদাহারণ হয়ে রইলো। পথহারা শিশু আপনকে তার অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে কোতোয়ালি থানা পুলিশর উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলভ বিশ্বাস দৈনিক আজাদীকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় নগরের সিনেমা প্যালেসের একটি বাস কাউন্টারের ভেতরে একটি শিশু পথ হারিয়ে কান্না করছিল। এমন খবর পাওয়ার পর পর শিশু আপনকে থানা নিয়ে আসা হয়। শিশু আপন তার বাবা মায়ের নাম বলতে পারিলেও সুস্পষ্ট ঠিকানা বলতে পারছিল না। শুধু বাকলিয়া বলে উল্লেখ করে।
এর পর শুরু হয় শিশু আপনের অভিভাবক খোঁজার পালা। পরে বাকলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ-খবর নিয়ে বাকলিয়া থানাধীন ভেড়া মার্কেট এলাকা থেকে শিশুটির মা লিপি বেগমকে খোঁজে বের করে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।