পতেঙ্গা সৈকতের বেলাভূমিতে রোজাদারদের আনন্দঘন ইফতার

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২২ মার্চ, ২০২৫ at ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ

সাগরের নীরব ঢেউয়ের মাঝে, সবুজ প্রকৃতির বুকে কিংবা মৃদু হাওয়ার সান্নিধ্যে ইফতার করার চান সবাই। সারাদিনের কঠিন রোজা রাখার পর স্বস্তিকর পরিবেশে ইফতার করার জন্য উদগ্রীব থাকে। সপ্তাহিক ছুটির দিনে সে মনোবাসনা দ্বিগুণ আকার ধারণ করে। এমন পরিবেশে রোজা ভাঙার মুহূর্তে সবার মধ্যে এক বিরল ধরনের ঐক্য এবং আনন্দ ছড়িয়ে পড়ছে।

পতেঙ্গা সাগরতীরে রয়েছে তেমন মনোরম পরিবেশ। সমুদ্রের বালুচরে মাদুর বিছিয়ে বসে নোনা জলের হাওয়া গায়ে মেখে ইফতার করার মধ্যে রয়েছে অন্য রকম এক ভালো লাগার আমেজ। তীরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের ছন্দও দোলা দেয় মনে।

সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে ইফতার করতে ভ্রমণে আসা অনেকে ছোট ছোট দলে বসে যান সৈকতে। কেউ পরিবারপরিজন, কেউ বন্ধুবান্ধব আবার কেউ সহকর্মীদের সঙ্গে সৈকতে ইফতারের আয়োজন করছেন। এতে শিশু থেকে সব বয়সী মানুষ থাকছে। রমজানে সপ্তাহের অন্যদিন হাতেগোনা ইফতার সারলেও বন্ধের দিন সেটি বহুগুণ আকার ধারণ করে। গতকাল পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে দেখা যায়, সমুদ্রের বালুচরে ছাদর বিছিয়ে শত শঞ মানুষের এ ধরনের ইফতার আয়োজন। ইফতারসামগ্রীর মধ্যে ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু, জিলাপি, বেগুনি, মরিচা, শরবতসহ বিরিয়ানি এবং বিভিন্ন প্রকারের ফলমূল ও পিঠা। থাকছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি, ওরশের বিরিয়ানি। ইফতারের পর বালির উপর মাগরিবের নামাজও আদায় করছেন রোজাদাররা। গতকাল সৈকতে ইফতারের আয়োজন করেন সোবাইল ও তাঁর বন্ধুরা। তিনি বলেন, সাধারণত রোজার সময় পরিবারের সবার সঙ্গে ইফতার করি। এবার সৈকতের পাড়ে বন্ধুদের নিয়ে প্রকৃতির সান্নিধে থেকে ইফতারের আয়োজন। এ এক অন্য ধরনের অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

সৈকতে পরিবার ও আত্মীয়দের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করেছেন আগ্রাবাদের বাসিন্দা রায়হান। তিনি বলেন, চাকরির ব্যস্ততার কারণে পরিবার নিয়ে তেমন ইফতার করা হয় নি। একারণে বন্ধের দিনে কোথাও ইফতার করার প্ল্যান ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনান্দনিক হয়ে উঠছে চবির শহীদ মিনার, চলছে সংস্কার কাজ
পরবর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নগরে বিক্ষোভ সমাবেশ