পতেঙ্গা সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

টানা ঈদের ছুটি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৫ এপ্রিল, ২০২৫ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

এবারের ঈদে লম্বা ছুটিতে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়িয়েছেন নগর কিংবা গ্রামের সব বয়েসি মানুষ। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সহপাঠীদের নিয়ে ঈদে ছুটে বেড়িয়েছেন পর্যটন এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের দিন দুপুর থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত নগরী ও আশপাশের বিনোদন কেন্দ্র্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়।

এবারের ঈদে যারা নগরীর বাইরে যাননি তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়’স লেক, সি ওয়ার্ল্ড (ওয়াটার পার্ক), চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ডিসি পার্ক, টানেল সড়ক, ফৌজদারহাট থেকে একেবারে পতেঙ্গা পর্যন্ত টোল সড়কের পাশের সৈকত পাড়, কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেরা এলাকা, বোট ক্লাব, নেভাল এরিয়া, প্রজাপতি পার্ক, আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকত, ওয়েল এগ্রো পার্কসহ নগরীর আশপাশের দর্শনীয় বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ঈদের দিন বিকেল থেকে এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।

বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে লাখো দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে। তিল ধারণের ঠিই ছিল সৈকত জুড়ে। এদিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে পতেঙ্গা নেভাল পর্যন্ত অপর দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে পুরো মেরিন ড্রাইভ সড়ক, আনন্দবাজার বীচ হয়ে কাট্টলী সমুদ্র সৈকত এবং ডিসি পার্ক লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের তিন দিনে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন ৫৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে ঈদের দিন দর্শনার্থী আসেন ১৫ হাজার, ঈদের দ্বিতীয় দিন ২০ হাজার ও তৃতীয় দিনও ২০ হাজার মানুষ ঘুরতে আসেন। দর্শনার্থীদের বেশি আগ্রহ ছিল বাঘ দেখায়। চিড়িয়াখানায় বর্তমানে বাঘ আছে ১৮টি। যার মধ্যে ৫টি সাদা রঙের। এ ছাড়া সিংহ, ক্যাঙারু, হরিণ, বানর নিয়েও মেতে ওঠেন দর্শনার্থীরা। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদের তিন দিনে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসেছেন ৫৫ হাজার দর্শনার্থী। বাঘ, ক্যাঙারু, হরিণ, পাখির প্রতি দর্শনার্থীদের আগ্রহ দেখা গেছে।

পাহাড় ও হ্রদবেষ্টিত ফয়’স লেক : ফয়’স লেকের কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে দর্শনার্থীর সমাগম শুরু হয়েছে ঈদের দিন বিকেল থেকেই। তবে শুরুর দিন কিছুটা কম থাকলেও দ্বিতীয় দিনে এসে রীতিমতো উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। পাহাড়ের বুক চিড়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের আঁকাবাঁকা লেক, ওয়াটার পার্ক সীওয়াল্ডের্র কৃত্রিম সমুদ্র বেইসক্যাম্প, অ্যামিউজমেন্ট পার্কের রাইডসবখানেই শিশু কিশোরদের মুখরতায় ভরপুর ছিল। ঈদ উপলক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি সমাগম হয়েছে ওয়াটার পার্কে।

বোয়ালখালীর কধুরখীল এলাকায় কর্ণফুলীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা রিভার ভিউ পার্ক ঈদেন দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এদিকে মীরসরাই উপজেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান, খৈয়াছরা ঝর্ণা, নাপিত্তা ছড়া ঝর্ণা, মহামায়া ইকো পার্ক, আরশি নগর ফিউচার পার্ক, হিলস ডেল মাল্টি ফার্ম, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী সমুদ্র সৈকতে ঈদের দিন থেকেই দর্শনাথীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। এছাড়া সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী, সহস্রধারা ঝর্ণা, ফটিকছড়ির বিভিন্ন চা বাগান, রাঙ্গুনিয়ার অ্যাভিয়ারি পার্কসহ বিভিন্ন পার্ক ভ্রমণ করছেন ঈদের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে যাওয়া দর্শনার্থীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত
পরবর্তী নিবন্ধগোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার