পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের ফরিয়াদ

| শনিবার , ২৮ মে, ২০২২ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের প্রান্তসীমায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দেশের অন্যতম চিত্ত বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিদিন হাজারও দেশি বিদেশি পর্যটক, দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত থাকে এই এলাকা। ছুটি-ছাঁটার দিন হলে এই সংখ্যা লক্ষাধিকও হয়। এই সী-বিচ দেশের মধ্যে পতেঙ্গাকে মহিমান্বিত করেছে আবার বাংলাদেশকেও আলাদা পরিচয় এনে দিয়েছে বহির্বিশ্বে। কিন্তু ঝড় জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে অবহেলিত এক জনপদকে বংশ বংশানুক্রমে ত্যাগ-তিতীক্ষার মাধ্যমে আজকের ‘সী-বিচ’ এ পরিণত করলো কারা?
সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই জায়গা উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছে সিডিএ। তারা সী-বিচের ব্যয়ভার বহন করার অজুহাতে বেসরকারি অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে সীবিচ ইজারা দেবেন অথচ আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে কিছু করবেন না তা সম্পূর্ণ অমানবিক এবং বেআইনিও বটে। আমাদের এভাবে নিঃস্ব করার অধিকার সিডিএর আছে বলে আমরা মনে করি না। ভিটেমাটি, জীবন দিয়ে ত্যাগ স্বীকার করেছি আমরা, সী-বিচকে জমজমাট করেছি আমরা। তাই সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই- অনতিবিলম্বে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আমাদের পুনর্বাসন করা হোক। এবং সী-বিচ বেসরকারি ঠিকাদারদের কাছে ইজারার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আল্লাহর দান। দেশের প্রতিজন নাগরিক মুক্তভাবে এটা উপভোগ করার অধিকার রাখেন। সী-বিচে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়ভার বহন করা বর্তমান সিডিএ বা সরকারের জন্য কোন ব্যাপার নয়। সী-বিচকে আজকের মনোরম বিনোদন কেন্দ্রের পর্যায়ে আনার কার্যক্রমে ইতোমধ্যে সর্বস্ব হারিয়ে আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, তাই ব্যয়ভারের অযুহাত দেখিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ৫ ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত না করার বিনীত আবেদন জানাই। আমরা চাই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জাইকা, সিডিএর কার্ডধারী ক্ষতিগ্রস্ত সকল দোকান মালিককে শীঘ্রই পুনর্বাসন করা হোক।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সিডিএ/জাইকার কার্ডধারী ক্ষতিগ্রস্ত
সকল দোকান মালিক সমিতির পক্ষে সভাপতি ওয়াহিদুল আলম মাস্টার

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিল্পাচার্য জয়নুল : উপমহাদেশের কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী
পরবর্তী নিবন্ধস্বপ্নমন