চালবোঝাই জাহাজ হ্যান্ডলিং এর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে (পিসিটি) গতকাল অন্তত আনুমানিক ৮শ’ টন চাল খালাস করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত চালবাহী এমসিএল-১৯ জাহাজ থেকে গতকাল দুপুর নাগাদ পণ্য খালাস শুরু হয়। সকাল ৮টা থেকে পণ্য খালাসের গ্যাং দেয়া হলেও কিছু আনুষ্ঠানিকতার জন্য পণ্য খালাস শুরু করতে প্রায় দুপুর হয়ে যায়। গতরাত বারোটা পর্যন্ত জাহাজটি থেকে চাল খালাস করা হয়েছে। আজ সকাল ৮টা থেকে আবারো পুরোদমে খালাস শুরু হবে। আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে জাহাজটির ২৬৫০ টন চালের পুরোটা খালাস করে হালিশহর এবং দেওয়ানহাট সিএসডিসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ট্রাক যোগে পাঠানো হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। কন্টেনার জাহাজ হ্যান্ডলিং এর জন্য নির্মিত পিসিটি পুরোদমে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারিভাবে
আমদানিকৃত চালবাহী অপেক্ষাকৃত ছোট গিয়ারলেস (নিজস্ব ক্রেন নেই এমন) জাহাজগুলো হ্যান্ডলিং করা হবে। বন্দরের ক্রেন দিয়ে এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে ট্রাকে বোঝাই করে সাথে সাথে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে ১৫টন করে চাল বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে বলেও খাদ্য বিভাগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে।
এমসিএল-১৯ জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট সেভেন সীজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী আকবর দৈনিক আজাদীকে বলেন, সকালে কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। সাড়ে ১১টা থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়। এর আগে মিলাদ মাহফিলসহ টুকটাক আনুষ্ঠানিকতায় কিছুটা সময় ব্যয় হয়েছে। তবে আজ সকাল থেকে পুরোদমে কাজ চলবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আট ঘণ্টার এক শিফটে গড়ে পাঁচশ টনের মতো চাল খালাস করা যাবে বলেও উল্লেখ করেন।