পতেঙ্গায় আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজের ভিত্তি স্থাপন

২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা : খাদ্যমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৪ জুলাই, ২০২২ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ আট স্থানে ৮টি স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫টি রাইস সাইলো আর ৩টি গমের। এছাড়া খুব শীঘ্রই ৩০টি পেডি সাইলো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। পতেঙ্গার স্টিল সাইলো দেশের খাদ্য সংরক্ষণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী গতকাল শনিবার পতেঙ্গায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৩ শত মে. টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গমের আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য সংরক্ষণের সক্ষমতা আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। কৃষকের ভেজা ধান সাইলোতে শুকিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি কৃষককে সহায়তার জন্য সরকার ধান চাল প্রকিউর করে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে তুরষ্কের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতা হতে যাচ্ছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া খাদ্যপণ্য রপ্তানি করার বিষয়ে একটি চুক্তি করেছে যা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। গম আনতে কষ্ট হবে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব খুরশীদ ইকবাল রেজভী, আধুনিক স্টিল সাইলো প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করীম শেখ, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মহানগর সংসদ কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও চট্টগ্রাম সাইলোর সুপার ফয়জুল্লাহ খান শিবলী।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৫৩৭.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য চট্টগ্রাম গমের সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে। ১২,৭০০ মে. টন ক্ষমতার মোট ৯টি সাইলো বিন রয়েছে সাইলোটিতে। এ সমস্ত সাইলো বিনে কীটনাশক ব্যবহার ব্যতিরেখেই অত্যাধুনিক চিলার ও নাইট্রোজেন ফিউমিগেশন যন্ত্রের মাধ্যমে আদ্রতা ও তাপমাত্র নিয়ন্ত্রণ করে মজুদ চাল প্রায় ২ বছর সংরক্ষণ করা যাবে। সড়ক ও নৌপথে এ সাইলোর সরবরাহ ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশ হতে জাহাজে করে বাল্ক আকারে আমদানিকৃত গম এ সাইলোতে মজুদ করা হবে। মজুদকৃত গম বাল্ক আকারে অভ্যন্তরীণ অন্যান্য সাইলোতে রেল ও নৌপথে সরবরাহ মজুদ করা হবে। এছাড়াও ৫০ কেজির বস্তায় করে গম সড়ক ও রেলপথে বিভিন্ন এলএসডিতে ও সিএসডিতে বিতরণের জন্য প্রেরণ করা হবে। কনফিডেন্স গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও আমোরিখার দ্য জিএসআই গ্রুপ পতেঙ্গার স্টিল সাইলো নির্মাণের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদখল ও দূষণে বিপন্ন খাল ছড়া
পরবর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ দেশের অগ্রগতি