পতেঙ্গার ইন্টারসেকশন ও ওভারপাস নির্মাণ কাজের মেয়াদ বাড়ল

ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে কাজ, বাড়েনি ব্যয়

হাসান আকবর | সোমবার , ২৪ মার্চ, ২০২৫ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

পাঁচমুখী গাড়ির চলাচল নির্ঝঞ্ঝাট করতে নেয়া ইন্টারসেকশন এবং একটি ওভারপাস নির্মাণের কাজের মেয়াদ আরো বাড়ানো হয়েছে। সিডিএ’র ফৌজদারহাটপতেঙ্গা রিং রোডের গাড়ি চলাচলের প্রত্যাশিত গতিশীলতা ধরে রাখতে এই ইন্টারসেকশন ও ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। গতকাল অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, নগরীর যান চলাচলে গতিশীলতা আনার জন্য পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ১৫ .২ কিলোমিটারের চার লেনের আউটার রিং রোড নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সড়কটি নির্মাণের পরে এসে এর সাথে যুক্ত হয় নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলীর তলদেশের টানেল এবং বে টার্মিনালের গাড়ি চলাচলের বিষয়টি। ইতোমধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়েছে, চালু হয়েছে টানেলও। এছাড়া পতেঙ্গা সাগরপাড়ে বেড়াতে যাওয়া লোকজনের গাড়ির একটি চাপও পতেঙ্গা এলাকায় রয়েছে। রয়েছে বিমানবন্দরগামী মানুষের চাপ। এতে করে এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল এবং রিং রোডের গাড়ির একটি বিরাট জটলা পতেঙ্গা এলাকায় প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি করছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ১৫ থেকে ২০ মিনিটে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা এলাকায় পৌঁছালেও ওখানে গিয়ে বিমানবন্দর কিংবা টানেলের মুখে পৌঁছাতে যানজট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। রিং রোডের সাথে চট্টগ্রাম ইপিজেডকে যুক্ত করতেও নির্মাণ করা হচ্ছে ইপিজেড কানেকশন রোড। এই রোড চালু হলে পতেঙ্গায় যান চলাচলের চাপ আরো বাড়বে। একইসাথে বাড়বে যানজটও। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে পতেঙ্গা এলাকায় একটি ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে পাঁচমুখী গাড়িকে স্ব স্ব পথে একই গতিতে চলাচলের পথ করে দেয়া হবে। এছাড়া ৯শ’ কিলোমিটার লম্বা দুই লাইনের একটি ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য। বিমানবন্দর থেকে যারা রিং রোড ধরে ঢাকামুখী যাত্রা করবে তাদেরকে ওই ওভারপাস দিয়ে চলাচলের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।

ইন্টারসেকশন ও ওভারপাসসহ পুরো অংশটির নির্মাণে ৫শ’ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের এই অংশের ইন্টারসেকশনের কাজ ৬০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। ইপিজেড কানেক্টিং রোডের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। কিন্তু প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত ডিসেম্বরে। এই অবস্থায় গতকাল অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটির মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তবে এতে কোনো ব্যয় বাড়ানো হয়নি।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস দৈনিক আজাদীকে বলেন, একনেকে আমাদের সময় বৃদ্ধির ব্যাপারটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইন্টারসেকশন এবং ইপিজেড কানেক্টিং রোডের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এতে পতেঙ্গা এলাকার যান চলাচলে স্বাভাবিক গতিশীলতা নিশ্চিত হবে বলে উল্লেখ করে কাজী হাসান বিন শামস বলেন, পাঁচমুখী গাড়ি ইন্টারসেকশন ব্যবহার করে স্ব স্ব পথে অনুমোদিত গতিতে চলাচল করতে পারবে। এতে যানজটের অবসান হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগণপরিষদের প্রয়োজন নেই : বিএনপি
পরবর্তী নিবন্ধদুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ