সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। হাসিখুশি মুহূর্তে ভরা ছিল পথচলা। কিন্তু ফেরার পথে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আনন্দের সফর রূপ নেয় শোকযাত্রায়। থেমে যায় তরুণ প্রাণ মো. শাহারিয়ার হাসান আলভীর জীবন। সে আর ফিরলোনা আর ফিরল নিথর দেহ হয়ে।
মো. শাহারিয়ার হাসান আলভী ছিল গহিরা মাইজপাড়া আলী চৌধুরী বাড়ির মরহুম নুরুল আবছার ও শাহেদা আক্তারের জ্যেষ্ঠ পুত্র। রাউজান সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এই মেধাবী তরুণ ছিল পরিবারের আশা-ভরসা, স্বপ্নের প্রতীক। সেই স্বপ্ন এক নিমিষেই চূর্ণ হয়ে গেল।
শাহারিয়ারের সঙ্গে পতেঙ্গা গিয়েছিল তার আরও দুই বন্ধু আলমশাহ চৌধুরী বাড়ির মো. মনছুরের পুত্র মো. জোনায়েদ এবং গহিরা মোবারকখীল হালদা খান চৌধুরী বাড়ির মো. আলিফ। তিন বন্ধু একসাথে রাউজান থেকে রওনা দিয়েছিল সন্ধ্যায়। কিন্তু রাতে পতেঙ্গা থেকে ফেরার পথে ঘটে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ফেরার পথে তাদের মোটরসাইকেলকে একটি বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কা দিলে তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহারিয়ার মৃত্যুবরণ করেন।
অন্য দুই বন্ধু জোনায়েদ ও আলিফ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন। তারা এখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
জোনায়েদ বলেন, আমার বন্ধুকে বাঁচানোর জন্য অনেকক্ষণ দিকবিদিক ছুটোছুটি করেছি। পরে একটি সিএনজি নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার বন্ধু আমাদের ছেড়ে চলে যায়। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় আবারও প্রমাণ হলো জীবন কতটা অনিশ্চিত। যে সন্ধ্যা ছিল প্রাণোচ্ছল তিন বন্ধুর আনন্দভ্রমণের, সেটাই হয়ে গেল এক বন্ধুর মৃত্যুর দিন আর অন্য দুইজনের জীবনের এক গভীর দুঃখের অধ্যায়।