ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে ভুয়া দূতাবাস চালানোর অভিযোগে হর্ষবর্ধন জৈন (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। খবর বাংলানিউজের।
তিনি গাজিয়াবাদের কবি নগরের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখান থেকেই বছরের পর বছর ধরে দূতাবাস চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসটিএফ জানিয়েছে, হর্ষবর্ধন নিজেকে ওয়েস্টার্কটিকা, সাবোরগা, পলভিয়া ও লোডোনিয়া নামের তথাকথিত দেশের কনসাল বা রাষ্ট্রদূত পরিচয়ে মানুষকে প্রতারণা করতেন। এই দেশগুলোর কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। তিনি বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ আদায় করতেন, এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে জাল ছবি দেখিয়ে নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখাতেন। অভিযানের সময় তার বাড়ি থেকে কূটনৈতিক নম্বরপ্লেট লাগানো চারটি গাড়ি, আরও ১৮টি ভুয়া নম্বরপ্লেট, ১২টি অবৈধ পাসপোর্ট, দুটি ভুয়া প্যান কার্ড, ৩৪টি দেশ ও কোম্পানির সিলমোহর, দুটি প্রেস কার্ড, ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নগদ অর্থ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অতীতে ২০১১ সালেও হর্ষবর্ধনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন তার কাছ থেকে একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার হয়েছিল। এবার তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও বেআইনি কার্যকলাপের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির সামনে সবসময় গাড়ির বহর থাকত, বিভিন্ন পতাকা লাগানো থাকত, তাই তারা ভেবেছিলেন কোনো প্রভাবশালী কূটনীতিক সেখানে থাকেন।