জাতীয় লজিস্টিকস নীতিমালা প্রণয়ন এবং অধিকতর অটোমেশনের মাধ্যমে বন্দরে পণ্য খালাসের সময় কমিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সাথে দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের সময় ও খরচ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো’ পদ্ধতির দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নগরীর সার্কিট হাউসে ট্রেড ফেসিলিটেশন ফর ইম্প্রুভিং দ্য কম্পেটিটিভনেস : চ্যালেঞ্জেস এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড শীর্ষক আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) উক্ত কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইআরডি এর সচিব শরিফা খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, একটি দেশের সার্বিক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে গতি আনয়নে বাণিজ্য সহজীকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাণিজ্য সহজীকরণের জন্য বাণিজ্য সংক্রান্ত নিয়ম, নীতি ও পদ্ধতিসমূহের প্রয়োজনীয় আধুনিকীকরণ ও সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত রপ্তানির সুবিধা ক্রমশ উঠে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে জন্য বাণিজ্য সহজীকরণ নীতিপদ্ধতিসমূহ বাস্তবায়ন করা অত্যাবশ্যক বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। সেই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমুদ্র বন্দর, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও লজিস্টিকস খাতের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে এক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনাসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তার আলোকে দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের সার্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা পর্যালোচনার লক্ষ্যে আজকের এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় বক্তব্য প্রদানকালে ইআরডি সচিব শরিফা খান বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে আরও কার্যকর সমন্বয় সাধনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরডি–এর অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আজিজ। মূল বিষয়বস্তুর উপর একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন ইআরডি–এর সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্রাজুয়েশন প্রকল্পের কম্পোনেন্ট ম্যানেজার ড. মোস্তফা আবিদ খান। প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউইসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ এবং বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী।