পণ্যের দাম নিয়ে যেকোনো অভিযোগ সরকারি পরিষেবার ‘৩৩৩’ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানানো যাবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক আলোচনা সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০২০ সালে কোভিড মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর দুস্থ মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে ও রোগী শনাক্তকরণে ৩৩৩ এর ব্যবহার বাড়ানো হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে ৩৩৩ নম্বরকে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হল। চলতি মাসের মধ্যেই দ্রব্যমূল্য নিয়ে ৩৩৩–এ অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
এ উপলক্ষে বাজার দরে অধিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং এ বিষয়ে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে উদ্ভাবনী পরিবর্তন আনার বিষয়ে গতকাল অংশীজনদের সঙ্গে জরুরি আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়। টিসিবি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, দোকান মালিক সমিতি, সুপারশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, ভোগ্যপণ্যের বিভিন্ন করপোরেট গ্রুপের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ৩৩৩ কল সেন্টার আগে থেকেই সক্রিয় আছে। সেখানে একটি ডিজিট যুক্ত করে দেওয়া হবে। সেখানে ভোক্তা যেকোনো বাজার থেকে দ্রব্যমূল্য বিষয়ে তার অভিযোগ জানাতে পারবেন। একই সঙ্গে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে, সেখানে প্রতিদিনের দ্রব্যমূল্য দেওয়া থাকবে। আসন্ন রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের যার যতটুকু সক্ষমতা আছে, তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, যেকোনো পণ্য উৎপাদন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, বিপণন ও আমদানি পর্যায়ে সঠিক তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ করা ও নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করা গেলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর রিয়েল টাইম ইনফরমেশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দিতে চাই। রমজান উপলক্ষে প্রথমে আমরা একটা কল সেন্টার চালু করব। বর্তমান সরকারি তথ্য সেবা ৩৩৩ এর সঙ্গে একটা ডিজিট যোগ করতে চাই। সবাই যখন চাল, চিনি, আলু, তেলের মূল্য তথ্য এক জায়গায় সরবরাহ করবে তখন সহজে বোঝা যাবে যে কোন জেলায় বা কোথায় কোন জিনিসের দাম কত। কোথাও যদি কোনো পণ্যের দাম অনেক কমে যায়, সাথে সাথে প্রশাসন গিয়ে সেখান সব পণ্য কিনে ফেলতে পারবে এবং যেখানে প্রয়োজন বিক্রি করে দেবে।