পণ্যের ঘোষণা ‘সঠিক’ শুল্কায়নে হয়রানির অভিযোগ

চট্টগ্রাম কাস্টমস

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১২ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার এহসান এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে এক্রিলিক পলিমার নামে সাড়ে ১৭ টন রাসায়নিক পণ্য আমদানি করে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের ল্যাবে এক্রিলিক পলিমার পরীক্ষার সক্ষমতা না থাকায় গত ২৮ এপ্রিল ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে সাময়িক শুল্কায়ন শেষে পণ্য খালাস করে নিয়ে যান আমদানিকারক।
জানা গেছে, পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, রসায়ন বিভাগ এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে পণ্যের নমুনা প্রেরণ করে। নমুনা পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, সরবরাহকৃত বাণিজ্যিক পণ্যটির নাম এক্রিলিক রেজিন এবং এটি পলিমারভিত্তিক অ্যাডহেসিভ। অপরদিকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ তাদের রিপোর্টে পণ্যের নমুনায় ৯৭ শতাংশ এক্রিলিক পলিমার বাকিটা অন্যান্য সংযোজন রয়েছে বলে মত দেয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের রিপোর্টে এক্রিলিক পলিমার ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বাকি ৩১ দশমিক ৯২ শতাংশ পানি পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া পণ্যের সরবরাকৃত নমুনার ইনভয়েস ঘোষণার সাথে মিল রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে।
এ বিষয়ে এক্রিলিক পলিমার পণ্যের আমদানিকারক ইহসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাহমুদ উদ্দীন বলেন, তিনটি ল্যাব রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে পণ্যের ঘোষণা ঠিক আছে। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের আমদানিকৃত এক্রিলিক পলিমার পণ্যটি শুধুমাত্র অ্যাডহেসিভ পণ্য হিসেবে শুল্কায়ন করতে চায়। এখন রাসায়নিক পরীক্ষায় যদি ঘোষণা মতো পণ্য আমদানি হয়েছে উল্লেখ থাকে, তাহলে মিথ্যা ঘোষণার দাবি তোলা অযৌক্তিক। অনেক সময় ময়দা কিংবা সাগুদানা দিয়ে আঠা তৈরি করা হয়। এখন সাগু কিংবা ময়দাকে আঠা হিসেবে শুল্কায়ন করা হবে কিনা। আমাদের আমদানিকৃত এক্রিলিক পলিমারে অ্যাডহেসিভের উপকরণ পাওয়া গেলেও এটি সরাসরি অ্যাডহেসিভ নয়। কারণ, দুটি রিপোর্টে এক্রিলিক পলিমার সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ এবং ৬৮ শতাংশ পাওয়া গেছে। আরেকটি রিপোর্টে পণ্যটি এক্রিলিক রেজিন বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আমাদের আমদানিকৃত পণ্য যথাসময়ে খালাস না দিয়ে শিপিং ও পোর্ট ডেমারেজসহ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। পণ্যের শুল্ককরের পার্থক্যজনিত অতিরিক্ত ব্যাংক গ্যারান্টির ৯ লাখ ৭০ হাজার ৩০৫ টাকা দ্রুত ফেরত দেয়ার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি। কাস্টমসের এমন হয়রানি মেনে নেয়া যায় না।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, এক্রিলিক পলিমার আমদানিতে ঘোষণা ঠিক থাকলেও রাসায়নিক পরীক্ষায় অ্যাডহেসিভের উপাদান থাকায় এটি অ্যাডহেসিভ হিসেবে শুল্কায়ন হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কাছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের একটি গাইডলাইন আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৯ বছরেও আসেনি গতি
পরবর্তী নিবন্ধসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ, কোনো ফাঁদে পা দেব না : খসরু