পণ্যবাহী দুটি কার্গো জাহাজ ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি

আজকের মধ্যে বাকিটা ছাড়ার কথা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে আটক করা মিয়ানমারের পণ্যবাহী চারটি কার্গোর মধ্যে একটি ছেড়ে দিয়েছিল শনিবার। গতকাল আরো দুটি কার্গো ছেড়ে দিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল সোমবার বিজিবির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজিবির ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৮ জানুয়ারি মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে যাওয়ার পথে চারটি পণ্যবাহী জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় আরাকান আর্মি। বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়নের ক্রমাগত যোগাযোগের পর গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই জাহাজগুলোর মধ্যে দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং টেকনাফ স্থলবন্দর জেটিতে এসে পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে চতুর্থ জাহাজটি ছাড়ার কথা রয়েছে। স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশমিয়ানমার নাফ নদীর জলসীমা নাইক্ষ্যংদিয়ায় তল্লাশির কথা বলে কার্গো জাহাজ তিনটি নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। এরপর শনিবার একটি পণ্যবাহী জাহাজ ছেড়ে দেয়। এরপর গতকাল আরো দুটি পণ্যবাহী জাহাজ ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি। আটক করা জাহাজগুলোতে ইয়াঙ্গুন থেকে আচার, শুটকি, সুপারিসহ প্রায় ৫০ হাজার বস্তার বেশি পণ্য নিয়ে রয়েছে।

স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পণ্যবাহী কার্গোগুলোতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আমদানি করা পণ্য ছিল। তিনি বলেন, মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নেয় আরাকান আর্মি। এরপর থেকে পণ্যবাহী কোনো জাহাজ মিয়ানমার থেকে টেকনাফ বন্দরে আসেনি। সবশেষ ৩ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আসে।

বিডিনিউজ জানায়, টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা এম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ২০২৩২৪ অর্থবছরের ২৩ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭ হাজার টন পণ্যে আমদানি হয়েছে। এর বিপরীতে সরকার ২৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। ২০২৪২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়। যার ফলে ৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার। রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের প্রভাবে গত বছরের তুলনায় ১৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে গত দুই অর্থবছরে যেসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সিমেন্ট রয়েছে জানিয়ে শুল্ক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, গত ২০২৩২৪ অর্থবছরে সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে ২৩৬ টন। যার মূল্য এক কোটি ১৩ লাখের বেশি। এছাড়া চলতি ২০২৪২৫ অর্থবছরে ২৯১ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে। যার মূল্য দুই কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রাম্পের অভিষেকে ঢাকার অভিনন্দন
পরবর্তী নিবন্ধ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলবে দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন