বাঁশখালীতে পড়া না পারায় মো. মিনতাজুর রহমান শাহরিয়ার (৭) নামে মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গন্ডামারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালু বলী পাড়া আল–মোস্তফা নুরানী তালিমুল কোরআন মদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর পিতা সৌদি প্রবাসী এম. মাইমুনর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে শাহরিয়ার ওই মাদ্রাসায় নূরানীতে পড়ে। গত সোমবার সকালে ক্লাসে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুস সালাম আমার ছেলেকে দু’টি সূরা পড়ার কথা বলেন। সূরা একটি পড়ার পর আরেকটি না পারার কারণে মাটিতে মাথা চেপে ধরে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে হুঁস ফিরে আসলে আমার ছেলের পিঠে আঘাতের ক্ষত বুঝা না যায় মতো কি যেন লাগিয়ে দেয়। বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে এসে চিকিৎসা চালাচ্ছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই। ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুস সালাম বলেন, মারধরের ঘটনা সত্য। ছাত্রগুলো মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতো। আমি চিকন বেত দিয়ে মেরেছি। এতো বেশি আঘাত হয়েছে তা বুঝতে পারিনি। আমি এ ঘটনায় সকলের কাছে ক্ষমা চাই। আমার অপরাধ হয়েছে।
গন্ডামারা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওয়াহেদ উল্লাহ্ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওইদিন অভিযুক্ত শিক্ষক পাঁচজন ছাত্রকে পড়া না পারার কারণে বেধড়ক মারধর করেছে বলে জানতে পারি। সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে শাহরিয়ার। এ বিষয়টি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অবহিত করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুধাংশু শেখর হালদার বলেন, কোনো শিক্ষার্থীকেই এভাবে মারধর করা যুক্তিসঙ্গত নয়। এটা অমানবিক। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।