বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর নামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নগরীর শেরশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজুল ইসলামকে (৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত রোববার সকালে থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা লিখিত অভিযোগ করার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী ছাত্রী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে বলে জানান বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর মা প্রতিদিনের মতো গত শনিবারও মেয়েকে বাসায় রেখে গার্মেন্টসের চাকরিতে চলে যান। তাদের বাসার পাশেই শেরশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজুল ইসলামের বাসা। ওই শিক্ষার্থী তার কাছে প্রাইভেট পড়তো। গত শনিবার প্রাইভেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নেন শিক্ষক ফয়েজুল ইসলাম। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে শরবত পান করানোর পর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেন ফয়েজুল। ছাত্রীর পোশাককর্মী মা রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পর ঘটনাটি জানতে পারেন। তিনি রোববার সকালে থানায় অভিযোগ করলে ফয়েজুলকে ওইদিন রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, গত শনিবার সকালে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী শিক্ষক ফয়েজুলের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। ওই শিক্ষক বাসায় নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে শরবত পান করানোর পর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেন ফয়েজুল। অভিযুক্ত শিক্ষক নগরীর শেরশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। ছাত্রীর মায়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় ফয়েজুলকে গ্রেপ্তার করে সোমবার (গতকাল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।