পটিয়ায় সন্ত্রাসী ফাহিমের ছুরিকাঘাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

পটিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং লিডার মোহাম্মদ ফাহিম প্রকাশ অ্যালঝেট ফাহিমের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ মামুন (২৪) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত আবুল বশরের ছেলে। গতকাল শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ডেঙ্গাপাড়া স্বপ্ন মসজিদ ঈদগাহ এলাকায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন ওমান প্রবাসী ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি দেশে ফিরে এসে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছিলেন।

ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম মোহাম্মদ ফাহিম (৩০)। তিনি একই এলাকার মোহাম্মদ আইয়ুবের ছেলে। গত বুধবার পটিয়ার মুন্সেফ বাজারের ব্যবসায়ী নুরুল আবছার আরজুকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ফাহিম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী ফাহিম যুবলীগ ক্যাডার লিটন বড়ুয়ার ছত্রছায়ায় থেকে অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। এছাড়া পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় লিটন বড়ুয়ার পিছনে থাকা ফাহিমের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাকে অনেকে ছাত্রলীগ নেতা বললেও, তার কোন দলীয় পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ফাহিমের সঙ্গে ডেঙ্গাপাড়া স্বপ্ন মসজিদ ঈদগাহ এলাকায় কথা বলছিলেন মামুন। এ সময় ইয়াবা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ফাহিম এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন মামুন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামুনকে ছুরিকাঘাত করেছেন ফাহিম। ফাহিম দুর্ধর্ষ অপরাধী, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়, মূলত সে যখনই যে ক্ষমতায় থাকে তাদের ছত্রছায়ায় থেকে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১০ বছর বয়সে হাফেজ
পরবর্তী নিবন্ধ২২ দিনের ব্যবধানে মায়ের পর বাবাকেও হারাল দুই শিশু কন্যা