পটিয়ায় লবণ শিল্প নগরী ইন্দ্রপুল এলাকায় লবণ ও প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ইন্দ্রপুল ফাহাদ সল্ট ও একই মালিকানাধীন একটি প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয় তা নিশ্চিত করে কেউ জানাতে পারেনি। অগ্নিকাণ্ডের খবরে প্রথমে পটিয়া ফায়ার সার্ভিস ও পরে আনোয়ারা, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ ও লামারবাজার ইউনিট একযোগে কাজ করে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
জানা গেছে, পৌর সদরের ইন্দ্রপুল এলাকায় বেশ কিছু লবণ শিল্প কারখানা রয়েছে। ইন্দ্রপুল ব্রিজের দক্ষিণের পাড়ে পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদের ছোট ভাই নাজিম উদ্দিনের লবণ ও পলিথিন কারখানা রয়েছে। শনিবার বিকালে অগ্নিকাণ্ডে ওই কারখানায় থাকা ৩০ হাজার মণ ক্রুট লবণ, ফিনিস সল্ট (উৎপাদিত লবণ) ১৫ হাজার মণ ও ৫০ হাজার লিটার রিক্রুট সল্ট আগুনে নষ্ট হয়ে যায়।
ইন্দ্রপুল লবণ মিল মালিকদের অভিযোগ, পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের টিম সঠিক সময়ে না পৌঁছার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা।
পটিয়া ইন্দ্রপুল লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত নন। আগুন লাগার পর যথাসময়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলেও তারা বিলম্বে পৌঁছেছে। তবে পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের তপু জানান, আগুনের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। দীর্ঘক্ষণ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের পটিয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ ও লামারবাজার ইউনিট একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান।











