পটিয়ায় এক যুবককে অপহরণের অভিযোগে দক্ষিণ জেলা যুবদল নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি মোকাম্মেল হক তালুকদার (৫২) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহ–সভাপতি। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৭–৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। যুবদল নেতা মোকাম্মেল উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত নুর নবীর ছেলে। গতকাল সোমবার পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইয়াকুবের ছেলে খায়েরুল ইসলাম মুন্না (২৭)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পটিয়ার আশিয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় মুন্নার ওপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে জোর করে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মোকাম্মেল হকের বাড়ির সামনে কিরিঞ্জা ব্রিজে। সেখানে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর তাকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করে ভিডিও ধারণ করা হয়।
অন্যদিকে যুবদল নেতা মোকাম্মেল হকের ছোট ভাই আসাদুজ্জামান সোহেলের দাবি, সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মামলার বাদী আমার ভাইসহ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মূলত ঘটনার সময় কিরিঞ্জা ব্রিজে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে আমিসহ স্থানীয়রা কিরিঞ্জা ব্রিজে গেলে আরাফাত নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে সিএনজিটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এসময় মুন্নাকে ঘটনাস্থলে পেয়ে এলাকার লোকজন তাকে পিটুনি দিলে সে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে। ঘটনাটি স্থানীয়রা ভিডিও ধারণ করে। স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ঘনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুন্নাকে থানায় নিয়ে যায়।
সিএনজি চালক আরাফাত জানায়, এক ব্যক্তি তার গাড়ি ছিনতাই করার চেষ্টা করছে। তখন স্থানীয়রা তাকে ধরে এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবককে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রাই তার কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুজ্জামান বলেন, মামলা রুজু হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন। অভিযুক্ত মোকাম্মেলের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ১৬টি মামলা রয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।