গভীর রাতে মোটরসাইকেল যোগে এসে হেলমেট পরা চার যুবক পটিয়া বিএনপি অফিস ও কয়েকজন সিনিয়র নেতার ঘরের দেওয়ালে “জয় বাংলা, শেখ হাসিনা” লেখাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিএনপি নেতার পাশাপাশি পটিয়া সরকারি কলেজ গেইটস্থ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও এ লেখা দেখা গেছে। এ নিয়ে দিনভর বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুইটি মোটরসাইকেল যোগে হেলমেট পরা চার যুবক পটিয়া কলেজ গেইটস্থ বিএনপি কার্যালয় ও কয়েকজন বিএনপি নেতার বাসার দেয়াল ও বৈষম্য বিরোধী নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো রঙের স্প্রে দিয়ে “জয় বাংলা, শেখ হাসিনা” লিখে দেয়। লেখাগুলো লিখে তারা দ্রুত ওই স্থান থেকে সটকে পড়ে।
এই লেখাটি পটিয়া কলেজ গেইটস্থ বিএনপি কার্যালয়ের দেয়ালে ছাড়াও পৌরসভা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী মো. আবু তাহের, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপির সাবেক মেয়র প্রার্থী তৌহিদুল আলম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দক্ষিণ জেলার সংগঠক আশরাফুল ইসলাম তকির কলেজ গেইটস্থ ফুড কার্ড প্রতিষ্ঠান, পটিয়া থানা হাটস্থ কিচেন মার্কেট ও বাস স্টেশন এলাকাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে দেখা যায়। তবে বিএনপি অফিসসহ বিভিন্ন নেতাদের দেয়ালে লেখাটি মঙ্গলবার সকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের নজরে আসলে সকাল ১০টা সাড়ে দশটার মধ্যে তা কালো কালি দিয়ে মুছে দেয়া হয়। তবে এর আগেই লেখাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। দুপুরে পটিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এ বিষয়ে উপস্থিত কয়েকজন যুবদল নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে চলে আসেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এখন গুপ্ত সংগঠন। তারা যে কাজটি করেছে অতীতে কোন বিরোধী দল বা সংগঠন এ ধরণের নোংরামি করেনি। গুপ্ত সংগঠনের কাজ গুপ্ত ভাবেই হয়। এরপূর্বে তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন নির্লিপ্তভাবে বিএনপির তালাবদ্ধ অফিসটি ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এগুলো কোন সুস্থ রাজনীতি হতে পারে না। আমরা এটা জাতির কাছে বিচার দিলাম।
পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান বলেন, গোপনে বিভিন্ন জায়গায় লিখে তারা চলে যান। খবর পাওয়ার পর পুলিশ বিষয়টি বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।












