পটিয়া বিসিক শিল্প এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নীট এঙপো গার্মেন্টস কারখানার শতাধিক শ্রমিক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি গত দুই মাস ধরে তাদের বেতন পরিশোধ না করে শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানি করছে। এতে পরিবার, পরিজন নিয়ে তারা চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। মাসের পর মাস শ্রম দিয়েও নির্দিষ্ট দিনে মজুরি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রমিকরা। রাত ৯টার দিকে ইউএনও–পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গতকাল বৃস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই শ্রমিকরা কারখানা ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকদের একাংশ স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘বেতন চাই, ন্যায্য হিসাব চাই, পরিবার নিয়ে বাঁচতে চাই।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন শ্রমিক ইয়াসিন বলেন, আমরা দিনের পর দিন পরিশ্রম করছি, অথচ মাস শেষে বেতন না পেয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। বাচ্চাদের স্কুল ফি, বাসা ভাড়া, বাজার খরচ সব কিছুতেই পিছিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ঘামে অর্জিত ন্যায্য পাওনা চাই।
ঘটনার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমান ও এ এসপি (পটিয়া সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম ও পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশের মধ্যস্থতায় মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করা হয়। পরে পটিয়া থানার ওসি নুরুজ্জামান বলেন, আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সব বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন। এই কথায় আশ্বস্ত হয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন থেকে সরে যান।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান বলেন, শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। মালিকপক্ষ লিখিতভাবে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি মালিকপক্ষ বেতন পরিশোধ না করে, তবে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা। তারা জানিয়েছেন, জীবিকার তাগিদে আন্দোলন করছেন, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চান না। আগামী ৩০ জুলাই বকেয়া বেতন পরিশোধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।