পটিয়ায় পর্যটক এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন থেকে ১৯ বগি বিচ্ছিন্ন

দুই ঘণ্টা পর যাত্রা করলেন ১০২০ যাত্রী

পটিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের বাইপাস সংলগ্ন গিরি চৌধুরী এলাকায় কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৯টি বগি স্প্রিংচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ইঞ্জিন থেকে ১৯টি বগি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ট্রেন ওই এলাকায় থেমে পড়ে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকাগামী ১ হাজার ২০ জন যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। চট্টগ্রাম নগরী থেকে নতুন ইঞ্জিনের সহায়তায় বগিসহ যাত্রীদের গন্তব্যে ফেরাতে চেষ্টা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. রাশেদুল আলম জানান, ট্রেনে ১৯ বগিতে ১ হাজার ২০ জন যাত্রী ছিল। পর্যটক এক্সপ্রেসটি কক্সবাজার থেকে পটিয়া ঢোকার সময় হঠাৎ ইঞ্জিনের সাথে বগির লাগানো হুক ভেঙে যায়। চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রেন ওই স্থানে থামিয়ে দেন। এখন নগরী থেকে নতুন একটি ইঞ্জিন এনে এটার সহায়তায় যাত্রীদের গন্তব্যে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

ট্রেন ইনচার্জ মো. জুবায়েদ জানান, চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ সামনের ইঞ্জিনের স্প্রিং ছিটকে যায়। এতে সামনের বগিটি সামনে চলে যায় এবং বাকি ১৯টি বগি ঘটনাস্থলেই আটকে পড়ে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ট্রেনটি থেমে আছে। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, নতুন রিলিফ ইঞ্জিন আসছে। সেটি পৌঁছালে আমরা পুনরায় যাত্রা শুরু করব।

জানা যায়, ট্রেনটিতে মোট ১০২০ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকাগামী।

সবশেষে নগরী থেকে নতুন ইঞ্জিন আসলে গতরাত ১২টা ১০ মিনিটে স্প্রিংচ্যুত বগির সাথে ইঞ্জিনের সংযোগ দিয়ে পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেনটি গন্তব্যে রওনা দেন। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ দুই ঘণ্টার বিড়ম্বনার অবসান ঘটে।

দুর্ঘটনার সময় ট্রেনে থাকা কয়েকজন যাত্রী জানান, আমরা ট্রেনের ভেতরে ছিলাম, হঠাৎ করেই ট্রেন থেমে যায়। প্রথমে কিছু বুঝতে পারিনি, পরে জানতে পারি সামনের বগি স্প্রিংচ্যুত হয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে আমরা এখানে আটকা আছি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নতুন রিলিফ ইঞ্জিন আসছে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প নিহত ৮২৮, আহত ২৮০০
পরবর্তী নিবন্ধবিয়ের ৬ বছর পরও যৌতুক দাবি, না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ