পটিয়ায় একটি বিদেশি পিস্তল, একটি এলজি, একটি থ্রি-কোয়ার্টার গান এবং ১২ রাউন্ড গুলিসহ দুই মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ইয়ার মো. বাবর (৩৫) ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকা থেকে র্যাব-৭ এর একটি টিম অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আসামিদের অস্ত্রসহ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ধৃত আসামি ইয়ার মো. বাবর পটিয়া উপজেলা সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও পটিয়া থানার নাইখাইন গ্রামের আবু তালেবের পুত্র। তিনি এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। গত ১৮ এপ্রিল পটিয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হতাহতের সৃষ্টি হয়। সেখানে বাবর একটি গ্রুপের সক্রিয় নেতৃত্ব প্রদানসহ জনসম্মুখে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। র্যাব জানতে পারে, বাবরের কাছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবরুদ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে রাতে গৈড়লার টেক বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ তাকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, নাইখাইন গ্রামস্থ তার ঘরে আরো অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রয়েছে। আসামির তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে নাইখাইন গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় বাবর উদ্দেশ্যমূলক চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। তখন বাবরের অন্য সহযোগী মো. মহিউদ্দিন (২৯) ও আব্দুল কাদের চৌধুরী (২১) এবং আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা লোক দলবদ্ধ হয়ে লাঠি নিয়ে বাবরকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে বাবরের সহযোগী দুষ্কৃতিকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। দুষ্কৃতিকারীরাদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে একজন র্যাব সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব বাবরের সহযোগী মো. মহিউদ্দিন ও আব্দুল কাদের চৌধুরীকে আটক করে। পরে গভীর রাতে বাবরের বসতঘর থেকে তার নিজ হাতে বের করে দেয়া একটি বিদেশি পিস্তল, একটি এলজি এবং ৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, র্যাব-৭ নিমতল স্কুল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে শাহেদুল আলম সবুজ (৩৭) নামের আরেক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে একটি রাম দা, একটি ছোরা, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি সুইচ গিয়ার অস্ত্র উদ্ধার করে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, র্যাব পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় র্যাব-৭ এর ডিএডি আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ২টি মামলা করেছেন।