পটিয়ার কুসুমপুরা গ্রামের ভূমিহীন অসহায় রোকেয়া বেগম। এ বৃদ্ধার ছিল না মাথা গোজার ঠাঁই। বিগত কোন সময়ে তিনি সরকারি কোন সহায়তা পাননি। তার কথা শুনে জেলা প্রশাসক স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক নগদ ৫০ হাজার টাকা ভিক্ষুক পুনর্বাসন ফান্ড থেকে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এক গণশুনানির আয়োজন করেন। পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক ২১টি সমস্য সমাধানের পাশাপাশি প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে সেবার আওতায় আনেন। এতে এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সমাজসেবক ও সরকারি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। মেহের আটি নুরুদ্দিন শাহ্ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আকতার হোসেন, সমাজসেবক আসহাব উদ্দিন, সমাজকর্মী রবিউল হোসেন বাদশা, মনসা ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, কুসুমপুরা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রুপন কুমার দাশ, প্রাইমারি শিক্ষক ইবি চৌধুরী, মনসা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম ফারুকীসহ অনেকে স্কুলের মাঠ, ভবন, ওয়াশব্লক, রাস্তার সমস্যা ও স্কুলে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের ইভটিজিংয়ের বিষয়সহ প্রায় ৫০টির বেশি সমস্যার কথা শুনানিতে উত্থাপন করেন। এ সময় শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন ডিসি।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে গনশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাজিউর রহিম জাদিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা, পটিয়া থানার ওসি (তদস্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা, কুসুমপুরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আকবর, সমাজকর্মী রবিউল হোসেন বাদশা প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, সেবার জন্য আর জনগণকে প্রতিষ্ঠানে ছুটতে হবে না, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।