নানা ইস্যু নিয়ে পটিয়া পৌরসভায় মেয়র–কাউন্সিলদের দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ২৯ অক্টোবর ও গতকাল রবিবার পৌরসভার মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করেছে পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর। এর মধ্যে গতকালের সমন্বয় সভায় ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল আলম ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইয়াছমিন আকতার ছাড়া অন্য কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন না। সকাল ১১টায় মাসিক সমন্বয় সভার নির্ধারিত সময় থাকলেও দুপুর দেড়টায় সরেজমিন গিয়ে এ দুই কাউন্সিলর ছাড়া অন্য কোনো কাউন্সিলরের দেখা মিলেনি। এ বিষয়ে মেয়র–কাউন্সিলররা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়ে গেলেও গত দুই মাসেও এ অচলাবস্থার অবসান না হওয়ায় পৌরসভার সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা মন্তব্য করছেন।
এ বিষয়ে পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল দৈনিক আজাদীকে বলেন, পৌরসভার স্বার্থ বিরোধী একটি মহল নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। পৌরসভায় কোন সমস্যা থাকলে মিটিংয়ে এসে তারা তার সমাধান করবে। বাইরে বসে সমালোচনা করলে তো তা সমাধান করা যাবে না। কয়েকজন কাউন্সিলর যে অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তমূলক। কোন কাউন্সিলর সভায় উপস্থিত না হলে, সরকারি বিধান রয়েছে। সে মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অপরদিকে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোফরান রানা বলেন, এখানে কাউন্সিলরদের ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ নেই। নিয়ম অনুযায়ী পূর্বের সভার এজেন্ডা পরবর্তী সভায় বাস্তবায়ন বা অনুমোদন হওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু মেয়র এসবের কোন তোয়াক্কা করেন না। যে কোন সিদ্ধান্ত ১২জন কাউন্সিলরের সাথে সমন্বয় না করে তিনি একাই নিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, মিটিংয়ে এক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আর রেজুলেশনে অন্য সিদ্ধান্ত লিখা হয়। এভাবে কাজের সমন্বয় না করায় এবং উনার স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই কাউন্সিলররা মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করে চলছেন।