পটিয়া-কর্ণফুলীর বিভিন্ন স্পটে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক । উঁচু অংশে আটকে যাচ্ছে চলন্ত কারসহ বিভিন্ন গাড়ি

শফিউল আজম, পটিয়া | মঙ্গলবার , ২৫ জুন, ২০২৪ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার ১৫১৮ কিলোমিটার সড়ক মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সড়কের একাধিক অংশ আবার বিভিন্ন স্পটে সড়কের দীর্ঘ অংশে উঁচু নিচু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের ভিটুমিনগুলো এক জায়গায় এসে সাত আট ইঞ্চি উঁচু হয়ে পড়েছে। এতে মহাসড়কের বিশাল অংশজুড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে। ইতিমধ্যে পটিয়ার শান্তির হাট এলাকা ও কর্ণফুলী উপজেলার কলেজ বাজার এলাকায় উঁচু নিচু সড়কের কারণে একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

মহাসড়কের পটিয়ার শান্তির হাট এলাকার বিভিন্ন স্পট, মনসা বাদাম তলা, ইউনিয়ন কৃষি স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্মুখে। এছাড়া কর্ণফুলী উপজেলার কলেজ বাজারের বিভিন্ন স্পট, মইজ্জ্যার টেকের বিভিন্ন স্পট দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকায় বিশেষ করে দ্রুত গতির মোটর বাইক, সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এছাড়া উঁচু স্থানগুলোর সাথে কারসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে গিয়ে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।

কর্ণফুলী উপজেলার কলেজ বাজার এলাকায় মহাসড়কের দীর্ঘ এলাকাজুড়ে সড়ক নৌকা আকৃতি রূপ ধারণ করেছে। এতে উঁচু নিচু ও দেবে যাওয়া সড়কে অতিমাত্রায় দুর্ঘটনা ঝুঁকি বেড়েছে। এসব সমস্যা সহসায় সমাধান না করলে চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কের এ বেহাল অবস্থা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

পটিয়ার শান্তির হাট এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী খোকন রবি দাশ ও মোহাম্মদ সেলিম জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন উঁচু নিচু অবস্থার কারণে বিভিন্ন সময় ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। গত দুইদিন পূর্বে রাত ১২টার সময় উঁচু সড়কের সাথে একটি চলন্ত কারের বডি আটকে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ে। স্থানীয়দের সহায়তায় দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর কারটি সড়কের উঁচু স্থান থেকে সরিয়ে কোন রকমে রক্ষা পায়। এতে কারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক সময় দ্রুত গতির মোটর সাইকেল হঠাৎ উঁচু স্থানটি বুঝতে না পেরে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এভাবে মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে মারাত্মক অসঙ্গতি দেখা দিলেও নজরে আনছে না চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগ। দিনের পর দিন এ অসঙ্গতিপূর্ণ সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলেও এ নিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এমন দাবি এলাকাবাসীর।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আসলে এখন মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আগেও সড়কের এ ধরণের অবস্থা ছিল। এখনও সড়কের কিছু জায়গায় বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে চেষ্টা করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘সম্পদের পাহাড় ছেড়ে’ আত্মগোপনে মতিউরের প্রথম স্ত্রী লাকি
পরবর্তী নিবন্ধকালুরঘাট সেতুর ভূমি অধিগ্রহণের ২৬০০ কোটি টাকা এককালীন বরাদ্দ রাখার অনুরোধ