পটিয়ার খরনা–হাইদগাঁও রাজঘাটা সড়কের অবস্থা বেহালর ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। স্থানীয় লোকজন চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। আড়াই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও নেই সংযোগ সড়কের উন্নয়ন। এতে স্থানীয়দের দুঃখ যেন ঘুচেও ঘুচল না। জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার খরনা এলাকা থেকে শুরু হয়ে হাইদগাঁও রাজঘাটা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাজঘাটা সড়ক। ১৯৯১ সালে রাজাঘাটা সড়কের ২ কিলোমিটার এলাকা ব্রিক সলিং দ্বারা সংস্কার করা হয়। ১৯৯৫ সালে খরনা ইউনিয়ন পরিষদ সার্কুলার সড়ক কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করার পর ১৯৯৮ সালে খরনা সার্কুলার সড়কের চৌমুহনী থেকে খরনা খালের ব্রিজ পর্যন্ত রাজঘাটা সড়কের কিছু অংশ কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হয়। ২০১১ সালে রাজঘাটা সড়কের ২ কিলোমিটার ব্রিক সলিং দিয়ে উন্নয়ন করায় এ সড়কের পুরো ৪ কিলোমিটার ব্রিক সলিং এ উন্নীত হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হয়নি। ২০১৬ সালে হাইদগাঁও হয়ে কেলিশহর রতনপুর পর্যন্ত চলাচলের জন্য শ্রীমাই খালের উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে রাজঘাটা ব্রিজ নির্মাণ করেন। বর্তমানে রাজঘাটা ব্রিজের নিচে শ্রীমাই খালের মোহনায় খালের দুই পাশে তীর রক্ষা বাঁধ, এলিভেটেড রাবার ড্যাম স্থাপন করা হচ্ছে। এই রাবার ড্যাম নির্মাণ করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুপযোগী হওয়ার কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ঠিকাদার, কর্মচারী ও প্রকৌশলীদেরও।অনেক দূরের পথ ঘুরে রাবার ড্যামের প্রকল্প স্থানে ঠিকাদারেরা সরঞ্জাম ও যানবাহন নিয়ে যাচ্ছেন। রাজঘাটা সড়কের দুই পাশে রয়েছে হাজার হাজার ঘর বাড়ি। খরনা, লালারখীল, ফকির পাড়া, মাঝির পাড়া, কইশ্যা পাড়া, শ্রীমাই বদলা পাড়া, এলাকার লোকজন এই রাজঘাটা সড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার বিহীন হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এই এলাকার লোকজন। এছাড়াও সড়কের সংস্কার না থাকায় দুই পাশে ঝোপঝাঁড়ে ভরে গিয়ে সড়কটি আরও সংকুচিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাজঘাটা সড়কের দুই পাশ প্রশস্ত করে কার্পেটিং দ্বারা সংস্কার করা গেলে এই এলাকার লোকজনের সুবিধা সহ তাদের উৎপাদিত ফসলি পণ্যগুলো দ্রুত বাজারজাত করতে সক্ষম হবে। এতে লোকজন একদিকে আর্থিক লাভবান, অন্যদিকে চলাচলের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। জরুরি ভিত্তিতে রাজঘাটা সড়কের সংস্কার করার জন্য এলাকার লোকজন সরকারের শুভ দৃষ্টি কামনা করেছে।
এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমান বলেন, রাজঘাটা সড়ক কার্পেটিং দ্বারা সংস্কার করা একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার। যার জন্য বড় একটি প্রকল্প হাতে নিতে হবে। এমপি, মন্ত্রী ব্যতীত বড় প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া যায় না। তারপরও বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। বরাদ্ধ পাওয়া গেলে উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হবে।