চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের শান্তিরহাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারদের দখলে থাকা প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করেছে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনির নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। জানা যায়, চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন শান্তিরহাট এলাকাটি ব্যস্ততম একটি এলাকা। অবৈধ দখলদারদের হাতে থাকা উদ্ধারকৃত জায়গাটির বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অভিযানে কুসুমপুরা মৌজার বিএস ১ নং খাস খতিয়ানের বিএস ২৬৩৩ দাগের ৩৯ শতক খিলা শ্রেণীর জমি হতে অবৈধ দখলদার ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ভোলডোজার দিয়ে এ অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। এ অবৈধ স্থাপনায় ৩০টি দোকান ঘর বা স্থাপনা ছিল।
উচ্ছেদের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ফাহমিদা আফরোজ বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় চাপড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাভুক্ত কুসুমপুরা মৌজায় ৩৯ শতক সরকারি জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সরকারের দখলে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় ইলিয়াছ গং ১৯৮৫ সালে জায়গাটি লিজ নেয়। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে তার লিজ বাতিল হয়। এর পরও সেখানে দোকানপাট নির্মাণ করে অবৈধভাবে ওই জমি দখল করে রাখা হয়েছিল। অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সেখানে সাইন বোর্ড ও লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দীন ভূঞা জনী জমি উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দেশব্যাপী গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পেন আওতায় উক্ত খাস জমিটিতে স্থানীয় সরকার প্রশাসন কর্তৃক বহুতল ভবন বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণের প্রস্তাব থাকলেও আদালতে আপীল মামলা চলমান থাকায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত ১৩ মার্চ আপীল মামলাটিতে সরকারের পক্ষে রায় হওয়ায় মার্কেট নির্মাণে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলো না।












