পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করলেন পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথসহ ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। আদালতের বিচারক তাররাহুম আহমেদ মামলাটি গ্রহণ করে এফআইআর নেয়ার জন্য পটিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় সব্যসাচী নাথ ছাড়াও পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জয় দত্ত বড়ুয়া, হেলথ ইনচার্জ আলী আকবরকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, করোনা টিকা প্রদানে টাকা আদায় ও গ্রাম্য পুলিশের ভাতার টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। মেয়র অভিযোগে উল্লেখ করেন, করোনাকালীন কোভিড–১৯ টিকা প্রদানকে কেন্দ্র করে অনিয়মের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের আগেই শোভনদন্ডী ইউনিয়নে গণটিকা প্রদান করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। ২০২২ সালে ১০ জানুয়ারি মেয়রের একমাত্র পুত্র আতিক শাহরিয়ার মাহি (১৯) পটিয়া সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়ন থাকায় কোভিডের টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশনের প্রস্তুতি নিলে তাকে রেজিস্ট্রেশন থেকে পিছিয়ে রাখা হয়। এমনকি তাকে টিকাও দেয়া হয়নি। এদিকে, কোভিডের টিকা না দেয়ায় ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি হঠাৎ মেয়র পুত্র মাহির জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করা হয়। অবশেষে তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নুর মিয়া বলেন, পৌর মেয়রের দায়ের করা মামলাটি আদালত গ্রহণ করে পটিয়া থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।