একদিন পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন– ‘আজ বুঝলাম সময়ের কাছে মানুষ কত অসহায়’। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে নিজ শোয়ার ঘরে ঝুলন্ত মরদেহ মিলে দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউপি সদস্য সামশেদ হিরুর। পুলিশ গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তার ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে। তার এ মৃত্যুকে অনেকে আত্মহত্যা বললেও পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন।
নিহত সামশেদ হিরু উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের বক্স আলী ফকির বাড়ির মৃত মো. শুক্কুর মেম্বারের পুত্র। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা জানান, পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামশেদ হিরু রাত ১১টা পর্যন্ত স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা থাকার কারণে রাতে বসতঘরে না থেকে পার্শ্ববর্তী একটি কাচারি ঘরে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো সকাল ৬টার দিকে তার স্ত্রী তাকে ঘুম থেকে ডাকতে গিয়ে সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেন হিরুর নিথর দেহ রশিতে ঝুলছে। পরে দরজা ভেঙে দেখতে পায় বুকের কাছে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে চমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় স্থানীয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে ময়নাতদন্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আত্মহত্যা করলে অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।