পটিয়ার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামে জবাই করে ভাতিজা রাশেদকে খুনের দায়ে চাচা জালাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গতকাল শুক্রবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানার খাজা রোড এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আজ শনিবার জালালকে আদালতে নেওয়া হলে সেখানে তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
চট্টগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইয়াসমিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সিআইডি চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি শাহনেওয়াজ খালেদ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চাচার হাতে ভাতিজার খুনের ঘটনার পর পরই সিআইডি কাজ শুরু করে।
ছায়াতদন্ত করে আসামি জালালকে শনাক্তের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে শনাক্ত করা হয় এবং খাজা রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৬ নভেম্বর পটিয়ার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। পাওনা আড়াই হাজার টাকা ভাতিজা রাশেদের কাছে চেয়েছিলেন চাচা জালাল উদ্দিন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রাশেদের গলার দুই পাশে পোচ দিয়ে বসেন চাচা জালাল। এতে মুহুর্তেই ভিকটিম রাশেদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন রাশেদকে পটিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম রাশেদের স্ত্রী তাসনিম আক্তার বাদী হয়ে জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।