পটিয়ায় বসতবাড়ি ও চলাচলের জায়গার বিরোধের জের ধরে ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশীরা। নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল হক (৬৫)। তিনি পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড জলিলুর রহমান ফকিরের বাড়ির মৃত নুরুল আবছারের পুত্র।
এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও ৬ জন নারী–পুরুষ আহত হন। আহতরা হলেন একই পরিবারের মো: জামাল উদ্দীন, মো: কামাল উদ্দীন, জুলেখা বেগম, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসলিম আকতার ও ইসলাম খাতুন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটা ও চলাচলের জায়গা নিয়ে প্রতিবেশী ফজলুল হক পরিবারের কাউছার আলম বাপ্পি, বাসেক, শহিদুল হক শহিদ, মো: জসিম, ও মো: রহিমের সাথে নিহত নুরুল হকের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এর আগেও একাধিকবার উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার আবারো কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। মারামারির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। এ সময় নুরুল হকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানান, বসতভিটার জায়গার বাড়াবাড়ি নিয়ে প্রতিবেশী ফজলুল হক, সেলিম হকরা আমার পিতাকে লোহার রড, কিরিচ ও গাছের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তারা শেষ পর্যন্ত আমার বৃদ্ধ পিতাকে বাঁচতে দিল না। আমরা এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও খুনিদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু জায়েদ নাজমুন নুর জানান, এ ঘটনায় সেলিম নামের একজন আটক আছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরো জানান, রাত ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ মামলা করেননি।
