পটিয়ায় বাস–পিকআপ–মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী ও পিকআপ ভ্যানের চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন বাইপাস সড়কের মুখে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কমলমুন্সির হাট এলাকায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বেশ কয়েকটি হোটেল রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। এসব হোটেলগুলোতে সারাদিন গাড়ি পার্কিং থাকে। কিন্তু রাতের বেলায় ১০–১৫টি গাড়ির পার্কিংয়ের স্থলে হয়ে উঠে শতাধিক গাড়ির পার্কিং। এতে গাড়ি চালানোর জন্য মহাসড়কের দুইপাশ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। প্রাণক্ষয়ী গাড়ির ত্রিমুখী এ সংঘর্ষের ঘটনা পার্কিংয়ের কারণেই বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহী হলেন এস এম আজিজুর রহমান (৩৭)। তিনি পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের আহমেদুর রহমানের ছেলে। নিহত অপর ব্যক্তি ভ্যান চালক সৈয়দ আলম (৩৩) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সৈয়দ মুরাদের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল চালক এস এম বোরহান উদ্দিন (৩০)। তাকে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কচুয়াই ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ইনজামুল হক জসিম দৈনিক আজাদীকে বলেন, মহাসড়কের পাশে আলাউদ্দিন হোটেলের সামনে থেকে একপি পিকআপ ভ্যান পার্কিং থেকে পেছনের দিকে আসছিল। এসময় ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পিকআপটি ওভার টেক করে চলে যাওয়ার সময় ধাক্কা লাগে। সাথে সাথে ঈগল পরিবহনের পেছনে আসা মোটরসাইকেলটি পিকআপ ও ঈগল পরিবহনের মাঝখানে লেগে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী দুই গাড়ির চাপায় পড়ে। এসময় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের এক আরোহী ও পিকআপ ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক এস এম বোরহান উদ্দিন আহত হলেও বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত। এস এম আজিজুর রহমান ও এস এম বোরহান উদ্দিন দুজনই ব্যবসায়ী। তারা পটিয়ার কমলমুন্সির হাট এলাকার দিকে গিয়েছিলেন।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্নেহাংশু বিকাশ সরকার বলেন, দুর্ঘটনার পর গাড়ি তিনটি হাইওয়ে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। তবে ঈগল পরিবহন গাড়ির চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।