পটিয়ায় পাঁচ দোকান পুড়ে ছাই, বোয়ালখালীতে পুড়ল ৭ বসতঘর

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ at ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের পটিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলায় পৃথক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পটিয়ায় ৫ দোকান ও বোয়ালখালীতে ৭ বসতঘর পুড়ে গেছে।

পটিয়া প্রতিনিধি জানান, কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় গভীর রাতে আগুনে পুড়েছে ৫ দোকান। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার মইজ্জ্যারটেক মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে একটি ফলের দোকান, একটি মোবাইলের দোকান, একটি সিএনজি ওয়ার্কসপ ও দুইটি কুলিং কর্ণার সম্পুর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেনমো. বাদশাহ, মো. বেলাল, ছোটন দে, পেয়ার আহমদ, নুরুল আকতার। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে মইজ্জ্যারটেকে অবস্থিত মো. বাদশার ফলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীদের দাবি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত্র হতে পারে। স্থানীয়রা বলছেন, মশার কয়েল থেকে আগুন লাগে।

বোয়ালখালী প্রতিনিধি জানান, বোয়ালখালীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে পুড়ে গেছে ৭ বসতঘর। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার সারোয়াতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেনলুৎফর নেছা (১৯), মো. রাসেল (৩৩), জাহেদুল আলম রাশেদ (৩৮), কুলসুমা বেগম (৭৫), ইউসুফ চৌধুরী (৬৫), মো. হোসেন (৬৭) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪২)

ক্ষতিগ্রস্ত স্যার আশুতোষ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী লুৎফর নেছা বলেন, আগুনে আমার সব বইপত্র ও এসএসসির সার্টিফিকেট পুড়ে গেছে। আমার বাবা প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত। পরিবারে বড় কোন ভাই নেই। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। সবকিছু এখন অনিশ্চয়তার পথে।

স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার পর মধ্যরাতে মানুষের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। আধা ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে সাত পরিবারের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরনের এক কাপড় পড়েই সবাই বের হয়ে যান ঘর থেকে। ঘরের আসবাব পত্র, টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, রাতে আগুন দেখে আমরা এক কাপড়ে বের হয়ে যাই। সবকিছু পুড়ে গেছে। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।

বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ৩ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানি, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
পরবর্তী নিবন্ধঅন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা রুখে দাঁড়াবে