আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হুইপের নিজ এলাকা শোভনদন্ডীর রশিদাবাদে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত সাজ্জাদের মা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনাকে এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতা হিসেবে দেখছে লোকজন। অন্যদিকে এসব ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে ভোটারদের মাঝেও।
জানা গেছে, উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নে রশিদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আশরাফুল আলম সাজ্জাদের (২৫) ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় তিনি গুরুতর আহত হন। সাজ্জাদ শোভনদন্ডী ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মঞ্জুরা বেগমের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রশিদাবাদ এলাকার একটি মিলাদ মাহফিলে যাওয়ার সময় ৭–৮ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা সাজ্জাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। নৌকা প্রার্থীর পক্ষে মা–ছেলে কেন কাজ করছে এ কথা বলতে বলতে কিল ঘুষি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে আহত আশরাফুল আলম সাজ্জাদ জোরে চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যান। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাজ্জাদ।
খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী হাসপাতালে সাজ্জাদকে দেখতে যান। এসময় তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন এবং সব ধরনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
আহত আশরাফুল আলম সাজ্জাদের মা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও ইউপি সদস্য মঞ্জুরা বেগম বলেন, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপির ভাই মহব্বত ও নবাবের নির্দেশে এলাকার চিহ্নিত তারেকুল ইসলাম ইমন, সাকিব, সামু, ইনান, শহীদুল ইসলামসহ ৭–৮জন আমার ছেলের ওপর হামলা করেছে। আমি এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
হামলার বিষয়ে হুইপের ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত জানান, ঘটনার দিন আমার ভাই নবাবসহ আমি পটিয়ায়ও ছিলাম না। একটি সামাজিক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ও প্রতিহিংসার বশঃবর্তী হয়ে কিছু মানুষ নির্বাচনী ফায়দা নিতে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এএসপি সার্কেলসহ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।












