পটিয়ায় কথা কাটাকাটির জের ধরে যুবকের ছুরিকাঘাতে আবদুল আজিজ (৩৫) নামে এক বাস চালকের নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার গিরিশ চৌধুরী বাজারের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই উত্তেজিত স্থানীয়রা অভিযুক্ত ২ যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে আহত ৩ জনেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গুরুতর আহত আবদুল আজিজ পটিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সবজারপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহের হোসেনের ছেলে। গণপিঠুনিতে আহতরা হলেন, চন্দনাইশের দোহাজারী চাগাচর গ্রামের ফয়েজ আহমদের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (১৮) এবং জামালের ছেলে তার চাচাতো ভাই আবিদ (১৮)।
জানা গেছে, উপজেলার গিরি চৌধুরী বাজার এলাকায় মহাসড়কে বাস চালক আবদুল আজিজকে দুই যুবক ছুরিকাঘাত করে নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌঁড়ে আসে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই সাজ্জাদ ও আবিদকে ধরে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা হাত–পা বেঁধে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) আরিফুল ইসলাম ও পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনির শিকার দুই যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পটিয়া থানার উপ–পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সোহেল জানান, হামলাকারী রিকশা চালক সাজ্জাদ হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, আবদুল আজিজ হাইদগাঁও পান বাজার থেকে ৬০ টাকায় সাজ্জাদের রিকশা ভাড়া করে পটিয়া বাস স্টেশনে আসেন। এ সময় আবদুল আজিজের সাথে রিকশা ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কি হয় চালক সাজ্জাদের সাথে। একপর্যায়ে আবদুল আজিজ ভাড়া না দিয়ে চলে গেলে রিকশা চালক ডাকবাংলো মোড়ে এসে একটি তোষকের দোকান থেকে তার চাচতো ভাই আবিদকে নিয়ে আজিজকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে গিরিশ চৌধুরী বাজার এলাকায় গিয়ে আজিজকে পেয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আবিদের সাথে থাকা ছুরি দিয়ে তাকে পেটে আঘাত করে। তবে এখনো পর্যন্ত কী কারণে বাস চালক আবদুল আজিজকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তা জানা যায়নি বলেও জানান তিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।