পটিয়ায় ৩টি গরু, ৮টি মোবাইল সেট, নগদ টাকাসহ ৬ লক্ষাধিক টাকা মালামাল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের থানা মহিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে ইয়াবা উদ্ধারের নামে ১০ জনকে বেঁধে রাখে ডাকাতরা। ডাকাতের হামলায় আহত হয় কোরবান আলী (৪৩), মনছুর আলম (৪৫), মোহাম্মদ এরফান ( ৪২), মোহাম্মদ আলী (৪৫), খোরশেদ আলম (২৬) ও মোহাম্মদ শরীফ (৩৮)।
আহত মনছুর আলম জানান, ১০–১২ জনের ডাকাতদল পুলিশ পরিচয়ে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ইয়াবা উদ্ধারে অভিযানের নামে সামশুল আলমের গোয়াল ঘর থেকে ৪ টি গরু গাড়িতে তুলে নেয়। একটি গরু গাড়িতে তোলার সময় নিচে পড়ে যায়। এসময় গ্রামের রাস্তাগুলো দিয়ে লোকজন যাতায়াতের সময় ইয়াবা তল্লাশির নামে ডাকাত দলের সদস্যরা অন্তত ১০ জনকে চোখ ও মুখ বেঁধে জিম্মি করে একটি ঘরে আটকে রাখে এবং তাদের মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। স্থানীয় মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, রাত সোয়া দুইটার দিকে ডাকাতদল চলে গেলে পুলিশে সংবাদ দেয়া হয়। এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৩টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এদিকে গতকাল দুপুরে খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষিকা শেলী আক্তারের বাসায় চুরি হয়েছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২৫ হাজার টাকা চুরি হয়। শিক্ষিকার স্বামী নরুল আবছার চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি–১ এর সাবেক পরিচালক ব্যবসার কাজে কক্সবাজার ছিলেন। পরিবার পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মক্কা ভিলার সম্মুখে শাহ আমানত ভিলার ৪র্থ তলায় ভাড়া বাসায় থাকেন। গতকাল সোমবার সকালে সন্তানরা স্কুলে এবং দুপুরে স্ত্রী কলেজে চলে গেলে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে স্বর্ণ ও মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পটিয়া থানার এসআই সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার জানান, ডাকাতি নয়, গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। রাতে পুলিশ গিয়েছিল। চোরদের কাছে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। চুরির ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।