পটিয়ায় গামছা দিয়ে হাত-পা ও মুখ বাঁধা টেক্সি চালকের লাশ

পটিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় গামছা দিয়ে হাতপা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা লাশটির পরিচয় মিলেছে। লাশটি সিএনজি টেক্সি চালক মোহাম্মদ আলমগীরের (৩৮) বলে সনাক্ত করেছেন তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের আজিমপুর এলাকায় কৃষি জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলমগীর (৩৮) রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পূর্ব পারুয়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে; পটিয়া পৌরসদরের ৫ নং ওয়ার্ড সবজার পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

জানা গেছে, গত ১৩ বছর আগে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দৌলতির বাড়ি এলাকায় আবদুস সবুরের মেয়ে মাহমুদা বেগম ডেইজির সাথে বিয়ে হয় আলমগীরের। তাদের ৯ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সে ঘরজামাই হিসেবে থাকলেও গত কয়েকমাস আগে তারা পৌরসদরের সবজার পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় উঠেন। আলমগীর টেঙি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বেশিরভাগ সময় রাতের বেলায় গাড়ি চালাতেন। বুধবার রাতে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যান। সকালে বাসায় না ফেরায় তার স্ত্রী থানায় যান। থানায় একটি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে শুনে সেখানে গিয়ে ডেইজি তার স্বামীর লাশ সনাক্ত করেন।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারীরা টেঙি চুরির জন্য চালককে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। আমরা বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে দেখছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধসাইবার আইনে সারজিস আলমের মামলা