পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া কনের বয়স ১১ বছর। তার সঙ্গে নিজের দশম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোর ছেলের বিয়ে দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার এক স্কুল শিক্ষিকা। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ওই স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া। খবর বিডিনিউজের।
ইউএনও বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ার এক দিনমজুরের মেয়ে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে গত ২০ মার্চ যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ১৬ বছরের এক কিশোরের বিয়ে হয়।
এ বিয়ের আয়োজন করেন বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বরের মা। বিষয়টি কয়েকদিন গোপন থাকলেও বর শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে তা জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরের মা স্কুলশিক্ষিকা বলেন, আমার মায়ের শরীর খুব খারাপ। আমার মা নাতবউ দেখতে চান। মায়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য আমার ছেলের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে পড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুইয়া বলেন, বিষয়টি জানান পর তিনি প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর নিয়েছেন। ওই স্কুল শিক্ষিকা নিজের দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। শামীম আরও বলেন, শিক্ষক হিসেবে তার দায়িত্ব তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করবেন। অথচ তিনি নিজেই বাল্যবিয়ে দিয়েছেন। তার অপরাধ কোনোক্রমেই ক্ষমা করা হবে না। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।