পজিটিভ পেরেন্টেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ

এস. টি. এফ. যূঁথী | শনিবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

প্রতিটি শিশুর সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার আছে। তার আগামীর পথচলা অনেকটাই নির্ভর করে, শৈশবের রঙিন দিনগুলোকে ঘিরে। শিশুরা কথা শোনে না, খেতে চায় না, পড়তে চায় না, সৃজনশীল কাজে আগ্রহী নয়। আরো কিছু নেতিবাচক স্বভাব আমরা শিশুদের মাঝে প্রায়ই দেখতে পাই। বর্তমান সময়ে শিশুদের যুগোপযোগী কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হয়ত সময় ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে শিশুদের এই পরিবর্তন ঘটছে। যা আগামী প্রজন্মের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিছু নেতিবাচক স্বভাব পরিবর্তনে পজিটিভ প্যারেন্টিং গুরুত্বপূর্ণ ও সহায়ক হবে। পজিটিভ পেরেন্টিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যা শিশুর ভুলগুলোকে ভুল হিসেবে চিহ্নিত না করে, তাকে ভালোবেসে পরিবর্তন করা। শিশুকে আত্মবিশ্বাসী, সুন্দর চরিত্রের অধিকারী, শিশুর শারীরিকমানসিক বিকাশে পরিপূর্ণ সহায়তা করতে সাহায্য করাই হলো পজিটিভ প্যারেন্টিং। কখনো তার সম্মানে আঘাত লাগে, এমন কথা না বলা, বকাবকি না করা। মূলত তার কথাকে গুরুত্ব দেওয়াই পজেটিভ প্যারেন্টিং। শুধুমাত্র শিশুর শারীরিক, মানসিক কিংবা জীবন গঠনের জন্য নয়। পজেটিভ প্যারেন্টিং এমন একটি বিষয় যা শিশুকে সঠিক পথে পথ চলতে শেখায়। শিশুর জীবন চলার পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করে পজিটিভ প্যারেন্টিং। যা একটি শিশুকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে পারে। পজিটিভ প্যারেন্টিং এর আওতায় শুধুমাত্র মাবাবা নয়, এই ক্ষেত্রে শিক্ষক ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজীবনের অপর নাম
পরবর্তী নিবন্ধশিশুকে স্বাস্থ্যবান রাখতে পুষ্টিরক্ষা কর্মসূচি