দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনে লোহাগাড়ার চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে এলিফ্যান্ট ওভারপাসের সাইড ওয়ালে অরক্ষিত পকেট গেট দিয়ে রেললাইনে ডুকে পড়েছে বন্যহাতি। এতে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত ও পা ভেঙে গেছে আনুমানিক ১০ বছর বয়সী ফিমেইল হাতি শবকের। বর্তমানে আহত অবস্থায় শাবকটি রেললাইনের পাশেই রয়েছে।
গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কার্যালয় এলাকায় ঢাকাগামী কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের ধাক্কায় বন্যহাতিটি গুরুতর আহত হয়।
জানা যায়, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মাঝ দিয়ে গেছে রেললাইন। রেললাইনের প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ অভয়ারণ্যের মধ্যে পড়েছে। এই অংশে বন্যহাতির চলাচলে যাতে সমস্যা না হয় বিষয়টি মাথায় রেখে ৩টি আন্ডারপাস ও একটি ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে। ওভারপাসের নির্দিষ্ট এলাকাজুড়ে রেললাইনের দুই পাশে দেয়া হয়েছে সাইড ওয়াল। যাতে বন্যহাতি ওভারপাস অতিক্রম করার সময় রেললাইনে চলে না আসে। সাইড ওয়ালে রাখা হয়েছে কয়েকটি পকেট গেট। পকেট গেটগুলোতে লোহার দরজা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু পকেট গেট এখনো অরক্ষিত থাকায় বন্যহাতি রেললাইনে চলে আসতে পেরেছে। পকেট গেট অরক্ষিত অবস্থায় থাকলে সামনে আরো দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, ট্রেনের ধাক্কায় আঘাতপ্রাপ্ত হাতির শাবক এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। হাতিটির অবস্থা অপরিবর্তিত। উন্নত চিকিৎসার জন্য উদ্ধার করে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে যাবার প্রস্তুতি চলছে।
ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি কর্মকর্তা হাতেম সাজ্জাত মো. জুলকার নাইন জানান, হাতিটির বয়স প্রায় ১০ বছর। একটি ফিমেইল হাতি ১৪ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। ট্রেনের ধাক্কায় হাতিটির পেছনের পা ভেঙে গেছে। এরপর হাতিটি নিচে গড়িয়ে পড়ে মাথায়ও আঘাত পেয়েছে। হাতিটি স্বাস্থ্যবান, তবে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। আপাতত ব্যথানাশক ইনজেকশন এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছে। হাতিটির অবস্থা গুরুতর। গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।