মিনার মনসুরের বাড়ি পটিয়ার বড়লিয়া গ্রামে। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক তিনি। ‘এই অবরুদ্ধ মানচিত্রে’, ‘অনন্তের দিনরাত্রি’, ‘অবিনশ্বর মানুষ’সহ একাধিক কাব্যগ্রন্থ ও প্রবন্ধের বই রয়েছে তাঁর।
একুশে পদক প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, পঁচাত্তরে আমরা ১৮/১৯ বছরের কিশোর, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। আমরা ভেবেছিলাম বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পরবর্তী সময়ে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে এবং আমরা অস্ত্র হাতে সে যুদ্ধে অংশ নেব। তা যখন হয়নি, তখন আমরা অস্ত্র নয় কলম হাতে যুদ্ধে নেমেছিলাম। আজ ৪০/৪৫ বছর পর এসে সেই যুদ্ধের স্বীকৃতি পেলাম দেখে ভালো লাগছে। এটা আমার একার স্বীকৃতি নয়। সেই যুদ্ধে অংশ নেওয়া হাজার হাজার কিশোর–তরুণের স্বীকৃতি এটি। সেদিন খুনিদের বিরুদ্ধে কলম হাতে যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম আমরা, তারই স্বীকৃতি এই একুশে পদক। আমি ভাগ্যবান যে আমি বেঁচে আছি।