দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও জাতিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ন্যূনতম সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম জেলা সিপিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দর, করিডোর নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কসহ সামপ্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে নগরীর চেরাগি পাহাড়ে বৈঠকখানা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে ভোট দিতে পারেনি। লড়াইটা হয়েছে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হল, ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে চলে যাওয়া, দেশকে সংকট থেকে মুক্ত করে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু তাঁরা সেটা না করে বড় বড় এজেন্ডা সামনে এনে দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারকে বলব, অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। সেটা অক্টোবরে হতে পারে, নভেম্বরে হতে পারে, ডিসেম্বরে হতে পারে। তবে ডিসেম্বরের বাইরে কোনোভাবেই না। এটা জাতির আকাঙ্ক্ষা। জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নির্বাচনের বিকল্প আর কিছু নেই। আমরা কোনো অসাংবিধানিক কেউ ক্ষমতায় আসুক, সেটা চাই না। আমরা চাই গণতন্ত্র, আমরা চাই নির্বাচন। মানুষের দম বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের দম বন্ধ হয়ে গেছে। করিডোরের বিষয়ে তিনি বলেন, করিডোরের বিষয়টি খুবই সেনসিটিভি। এটা আমাদের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত। রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন থেকে মুক্ত হোক, এটা আমরা চাই। কিন্তু এখানে করিডোর দিতে হবে কেন ? করিডোরের বিরোধিতা যখন এসেছে, এখন বলছে ত্রাণ চ্যানেল। আমরা মনে করি, এই করিডোর, ত্রাণ চ্যানেল–এসবের কোনো প্রয়োজন নেই। চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গে শাহআলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব শ্রমিক–কর্মচারীদের মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করতে হবে। এখানে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ডেকে আনার প্রয়োজন নেই। কিংবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও পরিচালনার প্রয়োজন নেই। চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা এখানকার শ্রমিক–কর্মচারীদের আছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা সিপিবির সভাপতি অশোক সাহা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া। এসময় জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী, মছি–উদ–দৌলা, ফরিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
