নৌবাহিনীর ২১ জাহাজ, হেলিকপ্টার-এমপিএ প্রস্তুত

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৪ মে, ২০২৩ at ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নৌবাহিনীর ২১ জাহাজ, হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নৌবাহিনী মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে সতর্ক করার কার্যক্রমও চালিয়েছে।

সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে নৌবাহিনীর ২১টি জাহাজকে ত্রাণ সামগ্রীসহ ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উপকূলীয় দুর্গত এলাকায় মোতায়নের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় নৌবাহিনীর বিশেষ বিমান মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাহাজ ও কন্টিনজেন্টসমূহ বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা চালাবে। প্রথম ধাপে উদ্ধার কাজের জন্য বানৌজা সমুদ্র জয় ও ধলেশ্বরীকঙবাজার, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ এলাকায়, বানৌজা শাপলাকুতুবদিয়া ও বহিঃনোঙ্গর এলাকায়, বানৌজা হাতিয়া এবং এলসিটি ১০৩সন্দ্বীপ ও হাতিয়া সংলগ্ন এলাকায়, এলসিভিপি ১১পটুয়াখালী এলাকায় ও এলসিটি ১০৫পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া খুলনার মংলায় বানৌজা শৈবাল, বঙ্গবন্ধু, প্রত্যয়, স্বাধীনতা, প্রত্যাশা এবং নির্মূলকে জরুরি অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের পাগলায় বানৌজা অপরাজেয়, অতন্দ্র, সুরভী, অদম্য ও পদ্মাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তায় বিশেষ মেডিকেল টিম জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে। ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ পর্যবেক্ষণের পর দ্বিতীয় ধাপে নৌবাহিনীর অতিরিক্ত জাহাজ এবং কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহানগর আ. লীগের মেডিকেল টিম ও মনিটরিং সেল গঠন
পরবর্তী নিবন্ধত্রিদেশীয় সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন কাল